কার্পাসডাঙ্গায় জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও কঙ্কাল উদ্ধারের স্থান পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক
কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ভৈরব নদে খনন যন্ত্রের সাথে উঠে আসা জাহাজের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক। গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান কার্পাসডাঙ্গাস্থ ভৈরব নদ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ওই স্থানে লাল পতাকা টাঙিয়ে রেডজোন এলাকা হিসেবে ঘোষণার নির্দেশ দেন। ওই স্থানে অবাধ প্রবেশ ও গোসল নিষিদ্ধ করে মাইকে প্রচার করতে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক সকলের উদ্দেশে বলেন, ‘ভৈরব নদ থেকে উঠে আসা সকল জিনিস এক জায়গায় রাখতে হবে। যারাই উদ্ধার করে জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন; তারা যেন স্বপ্রণোদিত হয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে ফেরত দেন। আর যে ব্যক্তি উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি গোপনে নিয়ে গেছেন তাকেও খুলি ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি, লোহার বড় চাকা, ফ্যান এগুলো মূল্যবান প্রতœতত্ত্ব তাই এর গুরত্বও অনেক।’ পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ভৈরব তীরে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এবং কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত জাহাজের যন্ত্রাংশগুলোও পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনাার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ, প্রতœতত্ত্ব অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. হাসানুজ্জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন, নিশান আহমেদ, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, ভৈরব নদী খনন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার বিশ্বজিৎ কুমার, পিসি আলতাব হোসেন, হাফিজুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সাদ আহমেদসহ কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মহাবিদ্যালয়ের নিকটবর্তী স্থানে ভৈরব নদ খননের সময় কয়েকশ বছর আগে ডুবে যাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এ সময় জাহাজের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও মানুষের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।