রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এক মাসের মাথায় আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বৃহস্পতিবার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই মাসের (নভেম্বর ও ডিসেম্বর) আমদানি বিল এক দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। এ কারণে মূলত রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকের নিচে নেমে গেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন। কয়েক মাস ধরেই দেখা যাচ্ছে, আকুর বিল পরিশোধের আগে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু বিল পরিশোধের পর সেটি আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোববে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষিত দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের নিচে ছিল। নভেম্বরে সেটি বেড়ে ২০ বিলিয়নের ঘরে ওঠে। কিন্তু আকুর বিল পরিশোধের পর ১৩ ডিসেম্বর সেটি ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে যায়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কেনা বাড়িয়ে দিলে ২৩ ডিসেম্বর রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২৩ ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর বাড়তে বাড়তে ২৯ ডিসেম্বর সেটি দাঁড়ায় ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে, যা ছিল গত ৩০ জুনের পর সর্বোচ্চ। তবে তিন সপ্তাহের মাথায় আকুর বিল পরিশোধের পর সেটি আবার ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে গেল। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকু হল এশিয়ার কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যকার একটি আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়। আকুর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু মহামারী কমে আসার মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি আর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং এরপর ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হলে বেড়ে যায় আমদানি খরচ। এরপর ২০২২ থেকে কমতে থাকে রিজার্ভ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের চার দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করে। ওই হিসাব অনুযায়ী ৩০ জুলাই তা ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, ২১ অগাস্টও একই ছিল।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More