মোটসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা : প্রাণ হারালেন কলেজছাত্র সাগর

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর দায় শোধ করতে হল যুবককে জীবন দিয়ে। হাই স্পিডে মোটরসাইকেল চালানোর সময় সড়কের পাশের বটগাছের সাথে ধাক্কা খেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী যুবক সাগরের (২১) মৃত্যু হয়েছে। তার অপর দুই সহযাত্রী মোটরসাইকেল চালক নাইম জোহান ও সাজিদ হাসানকে (১৬) গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে হাটবোয়ালিয়া এলাকা থেকে ৩ বন্ধু এক মোটরসাইকেলে আলমডাঙ্গা শহরে ফেরার পথে কুমারী ভেটেরিনারী সাইনবোর্ডের নিকট দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাহিদ হাসান সাগর স্নাতকের ছাত্র ও আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের মৃত মুনতাজ আলীর ছেলে।
অপরদিকে, নাইম জোহান কলেজের পেছনের পাড়ার হাজি মন্টু আহমেদ ও সাজিদ হাসান কলেজপাড়ার ওয়াজেদ আলী কচির ছেলে। তারা দুজন এ বছর সদ্য এইচ এসসি পাস করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, রাত ৯ টার দিকে হাটবোয়ালিয়া এলাকা থেকে তিন বন্ধু এক মোটরসাইকেলে আলমডাঙ্গা শহরের দিকে ফিরছিলেন। পথের ভেতর কুমারী ভিটিআই মোড়ে পৌঁছুলে মোটরসাইকেল চালক নাইম হাই দ্রুতগতির গাড়ির স্লিপ করে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে সাগর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। সড়কের পাশের বটগাছের সাথে তার মাথা ঠুকে রক্তাক্ত জখম হন। চালকসহ অপর যুবকও রক্তাক্ত জখম হন। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদ হাসান সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত নাইম জোহান ও সাজিদ হাসানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার পরির্দশক একরাম হোসাইন বলেন, তিন বন্ধু মিলে আলমডাঙ্গা হারদী এলাকা থেকে ফেরার পথিমধ্যে কুমারী ভেটেরিনারী এলাকায় পৌঁছুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বটগাছে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা আতহ তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে হারদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগর নামে একটি ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আহত দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মুন্তাজের দুই সন্তানের ভেতর একমাত্র ছেলে সাগর ছিলেন ছোট। সাগরের বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। রাতেই লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর নিকট আত্মীয়ের বুকফাটা আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। রাতেই লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। একমাত্র ও সোমত্ত ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে মা শোকে পাগলপ্রায়। নিকট আত্মীয়ের বুকফাটা আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More