মেহেরপুরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু : গাংনীতে গৃহবধূ আহত
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় মাঠে কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারি গ্রামে বজ্রপাতে ছোট খোকন ও শাহ আলম নামে ২ কৃষক মারা গেছেন। নিহতরা সদর উপজেলার শোলমারি গ্রামের দোয়াত আলীর ছেলে ছোট খোকন ও আব্দুর সামাদের ছেলে শাহ আলম। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাত আঘাত হানলে ওই দু’কৃষকের মৃত্যু হয়। এছাড়া গাংনীতে বজ্রপাতের ঘটনায় গৃহবধূ আহত হয়েছেন। এলাকাবাসীরা জানান, ঘটনার সময় ছোট খোকন ও শাহ আলম নিজ জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আঘাত হানে। এ সময় ছোট খোকন ও শাহ আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা দুই কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, বিকেলে শোলমারি গ্রামের ভারতীয় সীমান্তবর্তী নুয়ার মাঠে নিজ ধানের জমিতে কাজ করার সময় হঠাৎ বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রাঘাতে ছোট খোকন ও শাহ আলম আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে নিহতের পরিবারে লোকজন মাঠ থেকে তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মর্তুজা মতু জানান, জুমার নামাজের পর থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এর মধ্যে সন্ধ্যার আগে ছোট খোকন ও শাহ আলম বাড়ির পাশে মাঠে গরু-ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন দু’জনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মোকলেচুর রহমান পলাশ বলেন, বজ্রাঘাতে আক্রান্ত দু ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। ধারণা করছি, মাঠেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, একই সময়ে গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়াতে বজ্রপাতের ঘটনায় বেদানা খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূ আহত হয়েছেন। তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বেদানা একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের স্ত্রী। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, বেদানা খাতুন বর্তমানে সুস্থ্য রয়েছেন।