ঝিনাইদহ জেলা সদরের গান্না ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন মণ্ডলকে বোমা মেরে হত্যার দায়ে আটজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার গান্না এলাকার শান্তি হোসেন, আব্দুল করিম, লাভলু, আবু জাহিদ মনি, মিজানুর রহমান ওরফে টাক মিজান, ইব্রাহিম খলিল ওরফে ইদ্রিস ওরফে ইদু, মুকুল ও নাসির মিয়া। তাদের মধ্যে শান্তি হোসেন ও ইব্রাহিম খালিদ ওরফ ইদ্রিস ওরফে ইদু পলাতক। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
তাছাড়া গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাশ দিয়েছে। বিচার চলাকালে আসামি মশিউর রহমান ও উজ্জ্বল হোসেনের মৃত্যু হওয়ায় তাদের বিচার থেকে বাদ দেওয়া হয়।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১০ সালের ৭ জুলাই গান্না ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন মণ্ডল বোমা হামলায় আহত হন। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১১ জুলাই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিথা সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে সদর থানার এসআই সিকদার মতিয়ার রহমান ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলা চলাকালে আটক আসামিদের মধ্যে তিনজন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মোট ১৯ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আটজনকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দেয়।
যাবজ্জীবন ছাড়াও আদালত তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের সাজা দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। তাছাড়া বিস্ফোরক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি ইসমাইল হোসেন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাফুল আলম জোয়ার্দ্দার, মো. দবির হোসেন, গৌতম কুমার বিশ্বাস ও মো. তরিকুল আলম
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ