এডিস মশার লার্ভা চুয়াডাঙ্গাতে থাকার প্রমাণ মেলেনি : স্বাস্থ্য বিভাগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নারীসহ ৫জন ভর্তি হয়েছেন। ৫জনই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে ৬জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজন বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে যারা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের আজিবারের ছেলে তোতা মিয়া (৪২), ১৭ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদার আনোয়ারপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী শিউলী খাতুন (৫৫), ১৮ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার হানুরবাড়াদী গ্রামের মৃত কাতব আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ (৩৮), ১৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০) ও চুয়াডাঙ্গা শহরের মাঝেরপাড়ার অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার নেওয়াজ অভি (৩২)। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা শহরের সদর হাসপাতাল এলাকার মৃত মিঠুর ছেলে কলেজছাত্র তোহাকে (২২) সদর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, চলতি মাসে যে ৬জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে এসেছেন তারা সকলে ঢাকায় থাকেন। বাড়িতে আসার পরই ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা থাকার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
গতকাল রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৫জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পুরুষ-মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন করে নারী-পুরুষ মশারি টানিয়ে সাধারণ রোগীদের মধ্যেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি ৩জন কেবিনে চিকিৎসাধীন।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডেঙ্গু রোগীর জন্য আলাদা জোন খোলা হয়েছে। মেডিসিন ওয়ার্ডের ৪নং কেবিনটিতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলবে। মহিলা ওয়ার্ডে প্রক্রিয়াধীন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, যেহেতু ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা মশারির ভেতর রয়েছেন সেহেতু মশা কামড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা চুয়াডাঙ্গায় থাকার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
পুরুষ ওয়ার্ডের ৪নং কেবিনকে জোন করা হয়েছে। ওখানে চিকিৎসা চলছে। মহিলা ওয়ার্ড প্রক্রিয়াধীন। তিনি আরও বলেন, মানসম্মত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যেখানে সদর হাসপাতালে একটি ওয়ার্ডে ১৭ রোগীর জায়গায় ৭০ জন রোগী থাকে, সেখানে সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চলছে। ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা হাসপাতালের ওয়ার্ডে থাকলে এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে জীবাণু ছড়াতে পারে। সাধারণ মশাতে ডেঙ্গু ছড়ায় না।
পূর্ববর্তী পোস্ট
জীবননগর হাসাপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আলী আজগার টগর এমপি
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ