স্টাফ রিপোর্টার: রমজান মাসের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় ইফতার সংশ্লিষ্ট সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে আদা, শুকনো মরিচ ও রসুনের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। কাঁচা তরিতরকারীর পাশাপাশি দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মুড়ি, ডাল, ডিম ও মসলার। বাজার নিয়ন্ত্রণে না থাকাই দিশেহারা মানুষ।
গত শুক্রবার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৬০ টাকা কেজি দরের আদা এক লাফে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি শুকনো মরিচ ১৮০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩২০ টাকা ও এলসি শুকনো মরিচ ২০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭০ টাকা কেজির নতুন দেশি রসুন ১০০ টাকা ও এলসি রসুন ১৩০ টাকা, তাহিরপুরের পেঁয়াজ ৩২ টাকার স্থলে ৬০ টাকা ও লোকাল পেঁয়াজ ২৬ টাকা কেজি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ টাকা, ২৫ টাকা কেজির বেগুন বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ টাকা, ১২ টাকা কেজির খিরাই বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা কাচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল কাজিজ জানান, গত ২দিন পূর্বেও এ সকল কাঁচামালের দাম কম ছিলো। চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিকেজি মুড়িতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৬৮ টাকা কেজির ছোলা ৭২ টাকা, ৩২ চটাকা কেজি দরের মোটরের ডাল ৪৮ টাকা, ৫৭ টাকা কেজির খেসারীর ডাল ৯০ টাকা, ৭২ টাকা কেজির ছোলার ডাল ৮০ টাকা, ২৪ টাকা কেজি দরের আটা ৩০ টাকা, ৩৪ টাকা কেজি দরের ময়দা ৪০ টাকা, ৩৮০ টাকা কেজি দরের জিরা ৫০০ টাকা ও প্রতি পাতা ডিমে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে কোনো আয় রোজগার নেই। এ অবস্থার মধ্যে যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিদারুন কষ্টে থাকতে হবে। প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিংসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ