স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে। চুয়াডাঙ্গার চিত্রও অভিন্ন। তবে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা ভাইরাস মুক্ত নয়। চুয়াডাঙ্গাতেও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রমিত শনাক্তকৃত সক্রিয় রোগী ছিলেন ২৬ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ১ জন বাড়িতে বাকি ২৫ জন আইসোলেশনে ছিলেন। অবশ্য গত কয়েকদিন ধরে নতুন সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়নি। অপরদিকে সারাদেশে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ৩ জনের মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮শ ৯০ জনে। এসময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৬ জন রোগী। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৮১ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৯৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৪শ ৪৬ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২শ ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। প্রতি ১শ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃতেরহার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১ জন পুরু, ২ জন নারী। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১ জন, রাজশাহীর একজন ও ময়মনসিংহের একজন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ ৭৮ জন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গায় গতকাল শুক্রবার ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একজনেরও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। মৃতের সংখ্যা ২শ ৯জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতেই মারা গেছেন ১৮৯জন।
প্রসঙ্গত: গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী প্রথম শনাক্ত হয়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ