চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস মহামারির হালচিত্র : নতুন পজিটিভ ১৭
সংশোধিত
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বুধবার পর্যন্ত যতোগুলো নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হযেছে তার মধ্যে রিপোর্ট আসতে বাকি রয়েছে প্রায় দেড়’শ। বুধবার রাতে (১৭ জুন) রিপোর্ট আসে ১১৫ টি। এর মধ্যে পজিটিভ এসেছে ১৭ জনের। এছাড়াও দুজনের পুনপরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্যবিভাগের হাতে ৫৪টি রিপোট পৌছুয়। এর মধ্যে ৫১ জনের নমুনা নেগেটিভ হলেও তিনজনের পজেটিভ হয়। বুধবার (১৭ জুন) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ। তার স্ত্রীসহ পরিবারের ৩ জনের রিপোর্টও পজিটিভ বলে জানা গেছে। দাফনের আগে রিপোর্ট না এলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দাফন সম্পন্ন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় নতুন যে ১৭ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে এর মধ্যে দামুড়হুদায় ১০, জীবননগরে ১ ও সদর উপজেলায় ৬ জন। দামুড়হুদার নতুন ১০ জনের মধে ৭ জন পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার তিনজনের কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে একজন দামুড়হুদা থানার পুরুষ এসআই, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা আরামপাড়ার একজন ও আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়োকান্দির দুজন নারী। অপরদিকে করোনা পরীস্থিতি সামাল দিতে দর্শনা পৌরসভার দুটি ওয়ার্ড এলাকা রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে। যদিও লকডাউন এলাকায় যথাযথভাবে নিয়োম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নকে ঝুকিপূর্ণ তথা হলুদ এলাকা হিসেবে চিহ্নি করে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। এরই মাঝে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোলাইমান নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। জীবননগরের একটি ব্যাংকের নৈশপ্রহরী ছিলেন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তির আগেই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়। সেই রিপোর্ট আসার আগেই তিনি বুধবার মারা যান। এর আগেও চুয়াডাঙ্গায় একজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পরে পজেটিভ আসে। এদিয়ে চুয়াডাঙ্গায় কোভিড- ১৯ দুজনের প্রাণ নিলো।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্যবিভাগসূত্রে জানা গেছে, নতুন ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পূর্বে প্রেরণকৃত নমুনার মধ্যে মঙ্গলবার ৫৪টি রিপোর্ট স্বাস্থ্যবিভাগের হস্তগত হয়। এর মধ্যে ৩ জনের পজিটিভ। বাকি ৫১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। বুধবার ১১৫ টি রিপোর্ট আসে। এ পর্যন্ত জেরার মোট ১ হাজার ৮শ ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ৫৪ জনের রিপোর্ট দিয়ে মোট প্রাপ্ত রিপোর্টের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৬শ ১৮ টি। বুধবার আসে ১১৫চি। এ হিসেবে বাকি রয়েছে ১৩৪টি। চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে জেলার স্বাস্থ্যবিভাগের দেয়া তথ্যমতে সুস্থ হয়েছেন ৮৯ জন। বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ৩২ জনকে রাখা ছিলো। হোম আইসোলেশনে ছিলেন ৩২ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টেনে ৬ জন। হোম কোয়ারেন্টেনে নতুন ৪২ জন যুক্ত হয়েছেন, ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৭জন। এ পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টেনে থাকা মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ ২ জন। এর মধ্যে মোট ছাড়পত্র পেযেছেন ২ হাজার ৫শ ৯৬ জন। এ হিসেবে কোয়ারেন্টেনে রয়েছেন ৭শ ৬ জনে।
আমার জানামতে চুয়াডাঙ্গার মানুষ এখনও সচেতন হয়নি । সাধারন মানুষ মাস্ক বাবহার করে না । প্রশাসন যদি এ বিষয়ে একটু কোঠর হন তাহলে সংক্রমণ অনেক কমে যাবে।