স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯ জন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ২২ বছরের এক যুবতীসহ উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৯ জন। অবশ্য সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যে মৃতের সংখ্যা গতকালও শূন্য।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার ১৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিন একই সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসে। ৪৯ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৩৭ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৬ জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ৬ জন। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় শনাক্তকৃত সক্রিয় রোগীর মধ্যে ১২২ জন হাসপাতালে ও ১৯৮৩ জন নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন। গতকাল অবশ্য সুস্থতার সনদ একজনকেও দেয়া হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা ১৬৩ জন। এর মধ্যে ১৭ জন চুয়াডাঙ্গার বাইরে বাকি ১৪৬ জন চুয়াডাঙ্গাতে মারা গেছেন। প্রকৃত পক্ষে চুয়াডাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা এর অনেক বেশি। যেমস গতপরশু করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিলো ৪ জন। গতকালও করোনায় একজনসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যু কেনো বাদ পড়ছে তা স্পষ্ট করে দায়িত্বশীলদের তেমন কেইই কিছু বলছেন না। গতকাল যাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফার্মপাড়ার শান্তির মেয়ে ২২ বছর বয়ষী ঐশি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল মঙ্গলার মারা যান তিনি। সরোজগঞ্জ এলাকার ৬০ বছর বয়সী ময়না খাতুন, দৌলাতদিয়াড়ের ৬৫ বছর বয়সী জাহানারা বেগম, চুয়াডাঙ্গার জয়নাল, আলমডাঙ্গার বুলবুল খান, গোবিন্দপুরের আকবর আলী, উজিরপুরের জাফিরন নেছা, নতিপোতার মাসুদ, চুয়াডাঙ্গার রুস্তম আলী ছাড়াও শফি নামের একজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, গতকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার মোট ২০২৭৮ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে, ২০০৭৮ জনের। মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫৫৬৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩২৯৫ জন। স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭১ জন সুস্থ হয়েছেন।