চুয়াডাঙ্গার আরও ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ : নতুন শনাক্ত ৭
করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন ২৬৯ জন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ যখন ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় তখন হাতে এসেছে মাত্র ১১ টি। এর মধ্যে ৭ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ। রোববার নতুন যে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এদের সকলেরই বাড়ি আলমডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন মহল্লায়।
চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপকহারে সর্দি কাশি জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যা করোনার উপসর্গ। সর্দি কাশি জ্বর মানেই করোনা নয়। এরপরও যেহেতু করোনার উপসর্গ সেহেতু নমুনা পরীক্ষার জন্য ভিড় বেড়েই চলেছে। শনিবার ১শ ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণের পরদিন রোববার আরও ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সকাল থেকেই নমুনা দেয়ার জন্য ভিড় জমছে। নমুনা সংগ্রহকারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। দক্ষহাতে খুবই সতর্কতার সাথে নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। নমুনা দেয়ার পর পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত না পাওয়ার কারণে অনেকেই ভুগছেন মানসিক কষ্টে। আবার কেউ কেউ উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে নমুনা দেয়ার পর জনসাধারণের মাঝে ঘুরছেন বলেও অভিযোগ উঠছে। ফলে সংক্রমণের ঝুকি বাড়ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রায় প্রতিটি মহল্লায় যখন করোনা ছড়িয়েছে তখন নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে অনেকেরই অভিমত। প্রাপ্ত তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ রোববার রাতে ২১৯ জনের রিপোর্ট পাওয়ার প্রতিক্ষায় ছিলো। এর মধ্যে মাত্র ১১ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। রোববার আরও ৬৩ জনের নমুনা দেয়ার পর রিপোর্ট পেতে এখন ২শ ৬৯ জনের। যে হারে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেই হারে রিপোর্ট না পাওয়ায় জট বাড়ছে।
রোববার ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ৭ জন হলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের এক্সচেঞ্জপাড়ার ২ জন, আনন্দধামের ১ জন, কলেজপাড়ার আরও ১ জন, রথতলাপাড়ার আরও ১ জন, কোটপাড়ার ১জন, আলমডাঙ্গা শহর ঠিকানা উল্লেখ করা নারায়ণ চন্দ্র দাস (৫৯)। এ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫শ ১৮ জনে। রোববার সুস্থতার ছাড়পত্র পাননি কেউ। মোট সুস্থ হয়েছেন ২শ ৬৯ জন। রোববার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ৫৫ জন। হোম আইসোলেশনে ১শ ৮৩ জন। রেফার্ড ২ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩ জন।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। শহরের প্রায় প্রতিটি মহল্লায় রয়েছে করোনা রোগী। প্রথম দিকে নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার কম থাকলেও দিন যতো যাচ্ছে ততোই এই হার বাড়ছে।