করোনা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্টের শিকার চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের সেই ১৭ জনের কাজে যোগদান  

 

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি হারদিতে অবস্থিত। এলাকাবাসীর কাছে এটা হারদি হাসপাতাল হিসেবেই পরিচিত। এ হাসপাতালটিকেই করা হয়েছিলো লকডাউন। করোনা পরীক্ষায় প্রথমে ১৭জনের পজিটিভ আসার কারণে লকডাউন করা হলেও পরবর্তিতে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ফলে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লকডাউন প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রশাসন। ফলে টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার ২ মে থেকে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ১৭ জন তাদের কাজে যোগদিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টসূ্ত্রে জানা গেছে, হাসপাতালর জরুরি ‘ফ্লু কর্নার’ ছাড়া সব বিভাগের সেবা শনিবার সকাল থেকে চালু হয়েছে। অন্তবিভাগ,বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ সবখানে শুরু হয়েছস্বাভাবিক কার্যক্রম। প্রথমে পজেটিভ পরে নেগেটিভ রিপোর্ট কনো? উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদের ধারণা সম্ভবত কারগরি ত্রুটির কারণে এতগুলো মানুষের করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন এসেছিল। তার ভিত্তিতে হাসপাতালের সেবা সীমিত করা হয়েছিল। ঢাকা থেকে পরীক্ষা করানেরা পর সবগুলো প্রতিবেদন ‘নেগেটিভ আসায় শনিবার থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত: ২৭ এপ্রিল প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে চুয়াডাঙ্গার ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় ২৮জনকে করোনা ‘পজিটিভ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ২১জনই ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারি (চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট,ওয়ার্ডবয় ও বিভিন্ন ধরনের কর্মচারী)। বাকিদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পাঁচজন ছিলেন সাধারণ নাগরিক। ওই ফলাফল নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় পর দিন তা অমীমাংসিত বলে ঘোষণা দিয়ে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখানে পুনরায় নমুনা পরীক্ষার পর ৩০ এপ্রিল রাতে প্রতিবেদন পাওয়া যায় । তাতে জানানো হয়, ওই ২৮জনের মধ্যে মাত্র একজন করোনা ‘পজিটিভ’। তাদের ২১জনই স্বাস্থ্যকর্মী। সাতজন চিকিৎসক এবং ল্যাব টেকনোলজিস্ট,ওয়ার্ডবয় ও চালকসহ আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরই ১৭ জন। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দুজন নার্স ও দুজন ওয়ার্ডবয় ছিলেন। সদর হাসপাতালের ওই চারজনও কাজে যোগদান করেছেন। সদর সপাতালের আরএমও শামীম কবির। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More