আইনি জটিলতায় খাজা ও সাজ্জুলের লাশ ফিরে গেলো মর্গে

দামুড়হুদার বাড়াদী সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবি’র পাতাকা বৈঠক

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার বাড়াদী সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশ নাগরিক খাজা ও সাজ্জুলের লাশ ১৩দিনেও ফেরত পায়নি পরিবারের সদস্যরা। নিহতের ১২দিনের মাথায় লাশ ফেরতের প্রক্রিয়াও অবশেষে ভেস্তে গেলো। সীমান্তে দীর্ঘ অপেক্ষার পতাকা বৈঠকে হলেও আইনি জটিলতায় লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি ও পুলিশ। লাশ নেয়া হলো ভারতীয় মর্গের হিমাগারে। দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া বেকপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাজেদুল ইসলাম সাজ্জুল (৩০) ও একইপাড়ার শরিয়তউল্লাহ’র ছেলে খাজা মঈনুদ্দিন (৪০) গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে ভারতীয় গরু চোরাচালানের জন্য গেলে গোবিন্দপুর টহল বিএসএফ’র গুলিতে মারা যান। ভারতীয় পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালমর্গে নেয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই প্রতিদিনই লাশ ফেরতের অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে সাজ্জুল ও খাজার পরিবারের সদস্যরা। আজ নয় কাল করে টানা ১২দিনের মাথায় বাড়াদী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ’র মাধ্যমে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গতকাল বুধবার লাশ ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষার পালা শেষে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ লাশ নিয়ে বৈঠকে অংশ নেয়। এ বৈঠকে বিজিবির পক্ষে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের এডি হায়দার আলী, দর্শনা থানার এসআই সোহেল রানাসহ বিজিবি ও পুলিশের কর্মকর্তারা। অবশেষে লাশ ফেরতের ক্ষেত্রে বাধ সাধে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। শেষ অবধি আইনি জটিলতার কারণে লাশ ফেরত নেয়া হয়নি। ফলে দুজনের লাশ ফেরত নেয়া হয়েছে ভারতের শান্তিপুর হাসপাতালমর্গের হিমাগারে। তবে ফের কবে নাগাদ আইনি জটিলতার কাটিয়ে তুলে লাশ ফেরত দেয়া হবে তা অনেকটাই অনিশ্চিত।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More