অরক্ষিত রেলগেট, ট্রেনে কেটে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

 

স্টাফ রিপোর্টার:সচুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় ট্রেনে কেটে বনি ইয়ামিন (১৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে দর্শনা হঠাৎপাড়ার অরক্ষিত রেলগেটে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত বনি ইয়ামিন দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের বড়দুধপাতিলা গ্রামের মাঝেরপাড়ার আশরাফুল আলমের ছেলে। সে পার্শ্ববর্তী আনোয়ারপুর গ্রামের হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
দর্শনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কমিশনার মনির সরদার বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি বাইসাইকেলযোগে মাদ্রাসা থেকে খাবার খেতে বাসায় যাচ্ছিল। এসময় হঠাৎপাড়ার অরক্ষিত রেলগেট পার হতে গেলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী রকেট মেইল ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে। এতে তার বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তার পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। স্থানীয়রা জানায়, এই অরক্ষিত রেলগেটে ইতোপূর্বে অনেক দূর্ঘটনা ঘটেছে। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তারপরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেইনি। শিশুর মা তহমিনা খাতুন বলেন, আমার চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে বনি ইয়ামিন সবার ছোট। সে স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। বনি ইয়ামিন পাচ পারা পবিত্র কোরআনের হাফেজ ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে খেতে আসার পথে ট্রেনে কেটে মারা গেলো। আমার স্বপ্ন ছিল সে একদিন বড় আলেম হবে। আমার মৃত্যুর পর সে জানাযা পড়াবে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
দর্শনা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিক উদ্দিন বলেন, হঠাৎপাড়ার অরক্ষিত রেলগেট পার হবার সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলহাটিগামী রকেট মেইল ট্রেনে কেটে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তার বাম পা শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More