স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের (কোভিড-১৯) উপসর্গ বা জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার সন্ধ্যার পর ও বৃহস্পতিবার দেশের ৬ জেলায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুরে তিনজন, কুমিল্লায় প্রভাষকসহ দুজন, লক্ষ্মীপুরে দুজন এবং নোয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ফরিদপুরে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চাঁদপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে ২৫০ শয্যা চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। নারীর বয়স ৩০ বছর। বাকি দুজনের বয়স ৬০ বছর। ওই নারীর বাড়ি চাঁদপুর শহরে। দুজন পুরুষের মধ্যে একজনের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলায়, অন্যজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়। লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফ্ফার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রামগঞ্জ পৌর শহরের আঙ্গার পাড়া এলাকার এক বাসিন্দা (৬৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসেন। ভর্তি হওয়ার পরে তিনি মারা যান। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া রামগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মারা যান। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আগানগর ডিগ্রি কলেজের এক প্রভাষক (৫০) বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ওই শিক্ষক ছয় বছরের এক ছেলে ও স্ত্রী রেখে গেছেন। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন ও স্যার এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। এছাড়া, কুমিল্লার তিতাসের করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের এক নারী (৫০) মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ৫ দিন ধরে তিনি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীরা তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে বুধবার রাতে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরআলীপুরের এক নারীকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অবস্থায় নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। ভর্তি প্রক্রিয়া চলার সময়ই তার মৃত্যু হয়। করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। রাতেই তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি হরেক মালের ব্যবসায়ী ছিলেন। ফরিদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে বুধবার রাতে ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির বয়স ৪৫ বছর। তার বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, করোনা ওয়ার্ডে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন ৪৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ