স্টাফ রিপোর্টার: সিঙ্গাপুরের এক বাংলাদেশি নাগরিকের নামে একটি ব্যাংকে শত শত কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। সে অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটা খুব কঠিন, তবে সম্ভব। এর আগে একটি গণমাধ্যমের টকশোতে অংশ নেয়ার পর ওই ব্যক্তির নাম আলোচনায় উঠে আসে।’ আলোচ্য ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী তা প্রকাশ করতে রাজি হননি। খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আলোচনায় উঠে আসা ওই বাংলাদেশি নাগরিকের বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ আছে সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে। বিশাল অঙ্কের এই টাকার কোনো দাবিদার নেই। বাংলাদেশ ওই টাকার মালিকানা দাবি করেছে। চেষ্টা করছে সেগুলো দেশে ফিরিয়ে আনতে।’ তিনি আরও বলেন, টিটি চুক্তি অনুযায়ী এখনই নাম প্রকাশ করা যাবে না। তবে গুঞ্জন রয়েছে, এই অ্যাকাউন্টের মালিকের বিরুদ্ধে ‘কোনো একটি মামলায়’ মৃত্যুদ- হয়েছে। তার স্ত্রী-সন্তানও আছেন, কিন্তু তারাও এই টাকার মালিকানা দাবি করতে যাচ্ছেন না। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, ‘বিদেশে অনেক টাকা পাচার হয়েছে, এটা সত্য। ব্যাংকক, ইংল্যান্ড, হংকং, কানাডা ও সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার হয়েছে। এটা টাকা আনার জন্য মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্সের আওতায় দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, ফিনাশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কাজ করছে। এই টাকা আনার সময়ের ব্যাপার, আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপার। জাতির স্বার্থে এই টাকা ফেরত আনা হবে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। কিছুটা সময় হয়তো লাগবে।’ তিনি বলেন, ‘অর্থপাচার আইন ২০১২ তে বলা আছে, আমার দেশের টাকা যদি অন্য কোনো দেশে থাকে তাহলে আমরা কোর্টে নিষেধাজ্ঞা চাইতে পারি। আদালত সন্তুষ্ট হলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আরাফাত রহমান কোকো, তারেক রহমান, গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ও মোর্শেদ খানসহ অনেকের টাকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে। সেগুলো ফেরত আসছে।’কী পরিমাণ টাকা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকার সংখ্যা বলা যাবে না।’ এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘দেশের টাকা যদি অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়, অবশ্যই সেই টাকা ফেরত আনতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। রাষ্ট্রের টাকা কোথাও যদি পাচার হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। রাষ্ট্র এবং জনগণের টাকা ফেরত আনা হবে। একই সঙ্গে এই টাকা পাচারের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের খুঁজে বের করা হবে।’ বাংলাদেশি একজন নাগরিকের এত বিশাল পরিমাণ অর্থ সিঙ্গাপুরের অ্যাকাউন্টে কীভাবে গেলো?
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ