স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দমন-নিপীড়ন চালিয়ে লুটেরা সরকার, নিশিরাতের সরকার, ভোট ডাকাত সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। ডিসেম্বর মাস ঐতিহ্যের মাস, এ মাসে হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে বাংলার আকাশে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছি। এই মাসে জাতি বিজয় অর্জন করেছে। এই মাসেই লুটেরা, টাকা পাচারকারী সরকারের পতন হবে।’ গতকাল বুধবার খুলনার কে ডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শামসুজ্জামান বলেন, ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বন্ধ করা যাবে না। মামলা-হামলার ভয় এ দেশের মানুষ পায় না, তারা জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এবং আগামী দিনের কান্ডারি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আমরা ঘরে ফিরবো।’ বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের, গ্রেফতার ও কারান্তরীণের পাশাপাশি শাসকগোষ্ঠী দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন ও অনাচারের করাল গ্রাস থেকে এখনই দেশকে মুক্ত করতে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপির আমলে চালের কেজি ছিলো ১৬ টাকা। অবৈধ সরকার বলেছিলো ১০ টাকায় চাল দেবে কিন্তু মিথ্যাবাদী সরকার সে কথা রাখেনি। দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলনকারীদের ১০ জন নেতা-কর্মীকে সরকার গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যার বিচার দাবি করছি না। জনগণের সরকার একদিন প্রতিটি হত্যাকা-ের বিচার করবে।’ সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী বলেন, মাফিয়া সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। বাংলার সাধারণ জনগণ জেগে উঠেছে। মামলার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। গুটিকয়েক পুলিশ সদস্য গায়েবি মামলা দিচ্ছেন। সময় সবকিছুর জবাব দেবে। তিনি আরও বলেন, ১০ ডিসেম্বর ২৫ লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ থেকে সরকারকে বিদায় করতে এক দফার আন্দোলনের ডাক আসবে। সব দুর্নীতি, অনিয়মের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সরকারকে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন কাঠগড়ায় তাদের দাঁড়াতে হবে। খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ ও শেখ সাদীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনিরুল হাসান, বিএনপি নেতা আবু হোসেন, জুলফিকার আলী, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা, এসএ রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মোস্তফাউল বারি, মোল্লা মোশাররফ হোসেন, শের আলম, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান প্রমুখ।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ