রিমান্ড শেষে জেলহাজতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর স্ত্রী মোনালিসা

মেহেরপুর অফিস: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভানেত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলামকে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জামিন আবেদন করেন। পরে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাকে মেহেরপুর আমলি আদালতের বিচারক বেগম শারমিন নাহারের আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সৈয়দা মোনালিসা ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে দুপুর ১২টার দিকে আদালতে নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়ের করা একটি মামলায় গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর আমলি আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আমলি আদালতের বিচারক বেগম শারমিন নাহার তাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দায়েরকৃত মামলায় মোনালিসার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। অপরদিকে পলি খাতুন নামে আরেক নারীর দায়েরকৃত মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর সাইদুর রাজ্জাক, কোর্ট ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস এবং আসামিপক্ষে ইব্রাহিম শাহীন আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার ১২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। এছাড়াও পলি খাতুনের গত ৫ আগস্ট দায়ের করা একটি জিআর মামলার প্রধান আসামিও মোনালিসা। সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, তার ভগ্নিপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস এবং ছোট ভাই জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সারফরাজ হোসেন মৃদুল কারাগারে আছেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More