রপ্তানি নির্ভর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে শুধু রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীলতা নয়, রপ্তানি নির্ভর বিদেশি মুদ্রা অর্জনের দিকে আমাদের আরও মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের পণ্য যাতে বিদেশে রপ্তানি হয়, সেজন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং নতুন নতুন বাজার খুঁঁজে বের করতে হবে। যেখানে যে পণ্যের চাহিদা, সেই ধরনের পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পদক্ষেপ আমরা নেব। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টেনিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র’-সহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটা কথা সব সময় মাথায় রাখতে হবে, পরনির্ভরশীলতা আমাদের কমাতে হবে এবং নিজেদের পায়ে নিজেরা যেন দাঁড়াতে পারি, সে ব্যবস্থাটাই করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিষয়ে নানারকম মন্তব্য ও গুজবের বিষয়েও কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, এটা একটু কমবেশি হবেই। কিন্তু আমাদের নানা লোকজন রয়েছে, যারা এটা নিয়ে নানারকম মন্তব্য এবং গুজব করে বেড়ায়। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের ৩ মাসের খাদ্য কেনার যে রিজার্ভ, সেটা থাকলেই যথেষ্ট। তবে ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্যপণ্যে পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে, নিজের দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের যে উর্বর জমি ও জনসংখ্যা রয়েছে তাতে উদ্যোগ নিলে আমরা সেটা করতে পারি। শুধু উৎপাদন নয়, খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ আধুনিকীকরণ করতে হবে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পও ব্যাপকভাবে গড়ে তুলতে হবে। এতে দেশের মানুষের জন্য যেমন একটা বাজার তৈরি হবে আবার বিদেশেও আমরা রপ্তানি করতে পারব। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের, এরই সঙ্গে শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, এই যুদ্ধ অর্থহীন। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এই যুদ্ধ শুধু যারা অস্ত্র তৈরি করে তারাই লাভবান হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।