স্টাফ রিপোর্টার: ঈদের পঞ্চম দিনেও ঢাকাসহ তার আশপাশের জেলায় ফিরছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শ্রমজীবী মানুষ। এতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় কর্মমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে এবং ফেরিঘাট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও নদী পার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে কোনোপ্রকার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। ঈদের আগে ও পরে তিন-চার দিন পণ্যবোঝাই যানবাহন চলাচল কম থাকলেও ঈদের পঞ্চম দিনে তা বেড়েছে। তবে সাধারণ যাত্রী, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য জরুরি যানবাহন অগ্রাধিকার দিয়ে নদী পার করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, সকালে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও দুপুরে কর্মমুখী মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যক্তিগত মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, ব্যাটারিচালিত অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছেন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে কারো কারো মুখে মাস্ক দেখা গেলেও কোনো সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো সুযোগ ছিল না। এদিকে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফেরিঘাট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানযটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিসের ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ জানান, ‘সকালে অতিরিক্ত যানবাহন ও যাত্রীর চাপ না থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পার হওয়ার জন্য কাউকে অপেক্ষা করতে হয়নি। তবে দুপুরের পরে সাধারণ যাত্রী ও ছোট গাড়ির সংখা বাড়তে থাকায় পাটুরিয়া ঘাট থেকে যানবাহনের লোড ছাড়াই ফেরিঘাটে এনে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদের আগে ও পরের তিন-চার দিন পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কম ছিল। গতকাল থেকে তা বাড়তে শুরু করায় সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো জানান, রুটের সব ফেরি সচল রয়েছে, আশা করছি রাতের মধ্যে আগত পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার সম্ভব হবে।’
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ