স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন হবে ২১ জুন। একইদিন লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ও ১১টি পৌরসভার ভোট গ্রহণও করা হবে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকেই স্থগিত থাকা নির্বাচনের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরামর্শ নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান সচিব হুমায়ুন কবীর। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা এবং ভোট গ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা যাবে। এদিকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনা সংক্রমণকালে ভোট অনুষ্ঠানের আমি বিপক্ষে। একান্ত সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হলে কেবল সেই ভোট করা যেতে পারে বলে আমি মত দিয়েছি। যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সিদ্ধান্তে এটি পাস হয়েছে, ফলে এ বিষয়ে আমার প্রস্তাব গ্রহণ হয়নি। এর আগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন, প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপি এবং ১১টি পৌরসভায় ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ ছিল। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন। কুয়েতের আদালতে দ-িত সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয় ২৮ জানুয়ারি।
তিন আসনের উপনির্বাচন ১৪ জুলাই: ঢাকা-১৪, সিলেট-৩ ও কুমিল্লা-৫ শূন্য সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১৪ জুলাই। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এই তিন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী-তিন আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ জুন, প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ জুন। এ ছাড়া প্রতীক বরাদ্দ ২৪ জুন এবং ভোট গ্রহণ ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ সদস্যদের মৃত্যুজনিত কারণে এসব আসন শূন্য হয়েছিল। এর মধ্যে গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে; ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ এর আসলামুল হকের মৃত্যুতে এবং ১৪ এপ্রিল কুমিল্ল-৫ এর আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে তিনটি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে- সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশনারের মতে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। সেই হিসাবে এসব আসনে প্রথম ৯০ দিনে ভোট গ্রহণ সম্ভব না হওয়ায়, দ্বিতীয় ৯০ দিনে ভোট হচ্ছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ