স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্বর্তী অঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে বলে স্থানীয় আবহাওয়া বিশেষজ্ঞসূত্র জানালেও সারাদেশে আরো তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সোমবার (২০ জুলাই ) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষকরে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহসহ দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দিকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। শুক্রবার বিকেল থেকে অতি বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকলেও শনিবার থেকে এর তা হ্রাস পাবে। ভারী বৃষ্টিপাত এবং মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার ভারী বর্ষণের সতর্কতায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী ৮৯ মিলিমিটার বর্ষণ হতে পারে। সোমবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ঢাকায় ৬৫ মিলিমিটির, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৫২ মিলিমিটার, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ৪০ এবং ফেনীতে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা,ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি হলেই বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।