স্টাফ রিপোর্টার: শীত বিদায় নিয়েছে। বর্ষা আসন্ন। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মার্চ মাসের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গেলে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানান, চলতি মাসে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। মার্চে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এ মাসের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ২-৩টি মৃদু অথবা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। শীত বিদায়ের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ছয় জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৪ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি কুমারখালী ও মোংলায় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা ফেব্রুয়ারির সর্বনিম্ন। আর ২০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলের ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত শীত মৌসুমে চার দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে সব মিলিয়ে। সামনে আসছে কালবৈশাখী, তাপপ্রবাহ আর বজ্রঝড়ের মৌসুম।