ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুল খালেক প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তার প্রার্থিতা বাতিলে সমর্থকদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। এ অবস্থায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পৌর শহরে পুলিশের টহলসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার রাতে নৌকার সমর্থকরা ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের ওপর হামলা চালান। এ সময় মেয়র প্রার্থী হিজলসহ অন্তত আটজন আহত হন।
এরপরই নৌকার সমর্থকরা শহরে ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় শহরের চলাচলকারী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় থানায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ দেয়া হয়।
প্রার্থিতা বাতিল হওয়া আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা আমার কোনো নেতাকর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত না। এর বিরুদ্ধে আমি আইনের আশ্রয় নেবো।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে পৌর শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের টহল চলছে। ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী করছে। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় নির্বাচিত হয়ে এক মেয়াদে দীর্ঘ ১১ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। সর্বশেষ ২০১১ সালের ১৩ মার্চ এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিলে মেয়াদ শেষ হলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় নির্বাচন হয়নি।