স্টাফ রিপোর্টার: সারা দেশে একযোগে সব জেলার জেলা পরিষদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে জেলা ভিত্তিক ভোট করার কথা ভাবছে সংস্থাটি। ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে হলে সংশ্লিষ্ট জেলার অন্তর্ভুক্ত সব স্থানীয় সরকারগুলোর নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। কারণ স্থানীয় সরকারগুলোর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই ভোটার হয়ে থাকেন। ইসির পরিকল্পনা ছিলো সব নির্বাচন সম্পন্ন করে ফেলবে। কিন্তু কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। আর এই সময়ে এসে সব নির্বাচন শেষ করতে পারছে না সংস্থাটি। আইনি জটিলতাসহ আদালতে নিষেধাজ্ঞা, ইত্যাদি কারণে অনেক স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করতেও পারবে না নির্বাচন কমিশন। তাই যেসব জেলার সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন সম্পন্ন হবে, সেগুলোতেই ভোট করা হবে। ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানিয়েছেন, কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সব নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে সব নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন হবে। যেসব জেলার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে; সেসব জেলার জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে প্রায় সব উপজেলা পরিষদে নির্বাচিতরাই দায়িত্বে রয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনও সম্পন্ন হয়েছে। তিন ধাপে ২ হাজার ৫শ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ৮৪২ ইউপিতে এবং আগামী ৫ জানুয়ারি ৭০৭টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও তিন শতাধিক ইউপিতে আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
জানা গেছে, ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এই সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। আইনানুযায়ী, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করে থাকেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত ইজিবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ