মাথাভাঙ্গা অনলাইন: বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংকটের কারনে চরম বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার দুগ্ধ খামারিরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হোটেল রেস্তোরাসহ দোকানপাট বন্ধ এবং হাটবাজারে লোকজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দুধ বিক্রি হচ্ছে না। অন্যদিকে কেজি প্রতি দামও কমেছে। দুধের দাম কমেছে, দুধ বিক্রি হচ্ছে না, কিন্তু গো-খাদ্যের দাম কমেনি’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন হতাশ খামারিরা।
আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের খামারি রবজেল হোসেন জানান, ভাইরাসের কারণে কেউ দুধ ক্রয় করছে না। এমনকি অল্প দামেও দুধ বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। এখানে দুধ সংরক্ষণ করে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। এভাবে দুধ বিক্রি বন্ধ থাকলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আমাদের পথে বসতে হবে।
উপজেলার শহরের কলেজপাড়ার মরিয়ম খাতুন জানান, আমার ছয়টি গাভী রয়েছে। আগে খুচরা ৫০ টাকা কেজি দুধ বিক্রি করতাম। করোনার কারনে বর্তমানে তা বিক্রি করছেন ২০ টাকা ৩০ টাকায়। কিন্তু, গো খাদ্যের দাম একটুকুও কমেনি বরং বেড়েছে। ফলে গরুর খাবার জোগান দিতে ধার-কর্জ করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন খামারের মালিকেরা তাঁদের খামারের পশুদের জন্য খাবার কিনতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। বর্তমানে যানবাহন চলাচল না করাতে পশুখাদ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে লোকশানের বোঝা মাথায় নিয়ে খামার বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবেনা বলে জানিয়েছেন আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন খামারের মালিকেরা। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ হেল কাফি জানান, খামারিদের টিকিয়ে রাখার জন্য উর্র্ধতন কর্তৃপক্ষে সাথে আলোচনা করা হবে। আশা করছি দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে।