স্টাফ রিপোর্টার: করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে একদিনে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে-যা সাড়ে চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল। সেদিন ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারা দেশে ৪৪ হাজার ৩০৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৪৪ হাজার ৪৫১টি পরীক্ষা করা হয়। এ সময় নতুন করে ১২ হাজার ১৯৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের দিন মঙ্গলবার ১৩ হাজার ১৫৪ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল ৩১ জনের। সে হিসাবে আগের দিনের চেয়ে শনাক্ত কিছুটা কমেছে, কিন্তু মৃত্যু বেড়েছে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১৮০ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৪৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসাবে এক দিনে দেশে ৪ হাজার ২০৩ জন সেরে উঠেছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ৫৮২ জন। অর্থাৎ এ সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। উপসর্গবিহীন আক্রান্তরা এ হিসাবে আসেননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতবছর আগস্টের পর ৩০ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়ায়। ১৫ জানুয়ারি এ সংখ্যা ছিল ৩১ হাজারের ঘরে। ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে জানুয়ারিতে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। ডিসেম্বরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ২৫৫ জন। ওই মাসে মারা গিয়েছিলেন ৯২ জন।
মহামারির পুরো সময়ে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছর জুলাইয়ে, যখন ডেল্টার দাপট চলছিল। ওই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়। আর মৃত্যু হয় ৬১৮২ জনের, যা এক মাসে সর্বোচ্চ।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ