ইসি নির্বাচনী বাজেট চাইলো ৩ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা
সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি : দ্বিগুণের বেশি হচ্ছে নির্বাচনী ব্যয়
স্টাফ রিপোর্টার: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনে। শুরু হয়েছে নির্বাচনী কেনাকাটাও। নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপতে প্রায় ৭০০ টন কাগজ অর্ডার করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের অন্যান্য মালামাল কেনা নিয়ে বৈঠকে বসছে ইসি সচিবালয়। চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের শুরুতে সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসি কেনাকাটা শুরু করেছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) তিন হাজার ৯৫৪ কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা নির্বাচনী বাজেট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এসব টাকা ব্যয় হবে। নির্বাচনসহ ইসির অন্যান্য খাত মিলিয়ে আগামী অর্থবছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ইসির এ বরাদ্দ চাওয়া হয়। ওই বৈঠকে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। অর্থ মন্ত্রণালয় ওই টাকা বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে এখনও সম্মতি দেয়নি। বরং ওই টাকা চাওয়ার বিষয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে ইসির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচন আয়োজনে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৩ হাজার ৯৫৪ কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের বাজেট নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যে টাকা চেয়েছি তা আরেকটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। কোন কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করা হবে, সেটা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়। তিনি আরও বলেন, এটি একটি বড় বরাদ্দ। এজন্য হঠাৎ করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সীমাবদ্ধতা আছে। আগামী অর্থবছরের জন্য নির্বাচনী ব্যয়, ইভিএম মেরামতসহ এই টাকা ধরা হয়েছে। তা না হলে বাজেট আরেও কম ছিলো। অশোক কুমার জানান, কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে তারপর আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যাচাই বাছাই করে টাকা কমানোর কোনো খাত আছে কি-না সেটি দেখে সমন্বয় করা হবে।