ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রশাসনের শীর্ষ তিন পদের মধ্যে দুটিই শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিকসহ বিভিন্ন কাজে জটিলতা দেখা দিয়েছে। উপাচার্য নির্বাহী ক্ষমতাবলে কাজ পরিচালনা করলেও অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছরের ২০ ও ২১ আগস্ট যথাক্রমে উপাচার্য প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সেলিম তোহার মেয়াদ শেষ হয়। এক মাস ১০ দিন পরে উপাচার্য নিয়োগ হলেও গত সাত মাস কোষাধ্যক্ষ পদটি শূন্য রয়েছে। এছাড়া গত ২২ ফেব্রুয়ারি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমানের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ পদটিও এক মাস ধরে শূন্য। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিষয়ের যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সব চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। অন্যদিকে উপাচার্য প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য। তবে এ পদ দুটি শূন্য থাকায় কাজগুলো ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সব ধরনের কাজ উপাচার্যের একার করতে হচ্ছে। ফলে উপাচার্যকে অতিরিক্ত কাজের চাপ নিতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুন্সি শহিদ উদ্দীন মো. তারেক জানান, বর্তমানে ক্যাম্পাসে ১০টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ চলমান। কোষাধ্যক্ষ না থাকায় ছোট ছোট বিষয় নিয়েও উপাচার্যের কাছে যেতে হয়। অনেক কাজ সময়মতো হয়ে ওঠে না। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, তিন জনের কাজ একজনের করা অত্যন্ত চাপের বিষয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। আশা করি তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ