স্টাফ রিপোর্টার: কাগজে কলমে এখনও চলছে বাংলা অগ্রহায়ণ মাস। শীত ঋতুর আসতে এখনও প্রায় ৫ দিন বাকি। কিন্তু অগ্রহায়ণের এই শেষ সময়ে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঢেকে আছে কুয়াশায়। স্থবির হয়ে পড়েছে সারাদেশ। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা কমে আসায় বেড়েছে শীত। অকালের ঘন কুয়াশায় নৌযান চলাচল ও বিমান ওঠানামা ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ও দিনের দৃষ্টিসীমা একেবারে নিচে নেমে আসায় মহাসড়কগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েছে অনেক। দেশের উত্তরাঞ্চলের কোন কোন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছে শুধু কুয়াশা নয় এর সঙ্গে বাতাসে ভোসে থাকা ধুলা মিশে আসলে এক ধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতিতে। এই অবস্থা টানা একসপ্তাহ চলতে পারেন। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে সূর্যের আলো দেখা মিলছেই না। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি অনেক কমেছে। হঠাৎ শীতের আমেজ বাড়ায় সবাই জড়িয়েছে গরম কাপড়। অনেক জায়গায় ঘনকুয়াশার দাপট থাকছে ভোর থেকে দুপুর অবধি। উত্তরে হাওয়ায় শীতও জেঁকে বসছে ধীরে ধীরে।
এদিকে ঘনকুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা আরও নিচে নেমে যাওয়ায় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। গত মঙ্গলবার ঘনকুয়াশার কারণে টাঙ্গাইলে ট্রাক ও পিক-আপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন দুটি পরস্পরকে দেখতে না পাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বিশেষ করে শীতকালে সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হচ্ছে ঘনকুয়াশা। এদিকে ঘনকুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় প্রায় প্রতিদিন মাঝ রাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। ফলে দুপাড়ের কয়েক কিলোমিটার জ্যাম পড়ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন বাতাসের গতি না থাকা, শুষ্ক আবহাওয়া এবং পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। এই কুয়াশা আরও কয়েকদিন থাকবে।