হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো টাইগাররা

স্টাফ রিপোর্টার: শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। শহিদুলের ওভারটিতে গ্যালারিজুড়ে ছিল শুনশান নিরবতা। ওই ওভারে আসে ৭ রান। তাতেই আশা দেখে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলে ডট ও পরের দুই বলে দুই উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের বলটিতে ব্যাটে পেয়েই ছক্কা হাঁকায় ক্রিজে আসা ইফতেখার আহমেদ। পরের বলে এই ব্যাটারকে ফেরান রিয়াদ। শেষ বলে দুই রান প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের। একরকম নাটকীয়তায় শেষ বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাতেই ৩-০ হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো টাইগাররা। সোমবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি পাঁচ উইকেটে জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে সফরকারীরা। টানা তিন পরাজয়ের বাবর আজমের দলের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করলো মাহমুদউল্লাহরা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মোটামুটি ভালো হয়েছিল পাকিস্তানের। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান তোলে সফরকারীরা। দলীয় ৩২ রানের মাথায় ২৫ বলে ১৯ রান করা বাবরকে সাজঘরে ফেরেন আমিনুল ইসলাম। অবশ্য এরপর ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে হায়দার আলীর প্রতিরোধী জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। এই যুগলের ৫১ রানের জুটি ভাঙলে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ৪৩ বলে ২ চার ও এক ছয়ে করেন ৪০ রান। তাকে বোল্ড করে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেও পরের বলগুলো ভালো হয়নি অভিষিক্ত শহিদুল ইসলামের। শেষের দিকে এক রকম নাটকীয়তা দেখা যায়। দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। শহিদুলের ওভারটিতে আসে ৭ রান। তাতেই আশা দেখে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলে ডট ও পরের দুই বলে দুই উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের বলটিতে ব্যাটে পেয়েই ছক্কা হাঁকায় ক্রিজে আসা ইফতেখার আহমেদ। পরের বলে এই ব্যাটারকে ফেরান রিয়াদ। শেষ বলে দুই রান প্রয়োজন ছিল সফরকারীদের। একরকম নাটকীয়তায় শেষ বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাতেই ৩-০ হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবলো টাইগাররা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা
স্টাফ রিপোর্টার: পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এরপরই তাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটির জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেখানে জায়গা পেয়েছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়। এছাড়া চমক হয়ে এসেছেন সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টটি হবে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য মঙ্গলবার দুপুর ২.৪৫ টায় চাটার্ড বিমানে দুই দলের ক্রিকেটাররা চট্টগ্রামে যাবেন। আগের টেস্ট দল থেকে এই দলে নেই তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও পেসার শরিফুল ইসলাম। নতুন সুযোগ পাওয়া পেসার রাজা ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৩৩ উইকেট। জয় চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগেও পেয়েছেন দুই সেঞ্চুরি। তাদের অর্ন্তভূক্তি নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ‘এটা তাও তাড়াতাড়ি হয়ে যায় কিন্তু জয় দীর্ঘ সময়ের ক্রিকেটে নিজের টেম্পারমেন্ট দেখিয়েছে। সে ফর্মেও আছে। তাসকিন ও শরিফুলের ইনজুরির কারণে আমাদের পেস বোলিং অপশন দরকার ছিল। তাই রাজাকে নেওয়া। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। সে শক্তিশালী, এনার্জি আছে, উইকেট নিতে পারে।
বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড : মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, আবু জায়েদ রাহী, ইয়াসির আলি রাব্বি, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, সাকিব আল হাসান (ফিট থাকলে)।

বাংলাদেশকে হারিয়ে ভারতকে পেছনে ফেলল পাকিস্তান
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ‘প্রতিশোধ’ তো প্রতিশোধ’-ই। এক্ষেত্রে বছর, ভেন্যু, সংস্করণ- কিছুই বিবেচ্য হয় না। যে মিরপুরে ২০১৫ তে পাকিস্তানকে ওয়ানডেতে ‘বাংলাওয়াশ’ করেছিল মাশরাফি মর্তুজার বাংলাদেশ, ৬ বছর পর সেই মিরপুরেই পাশার দান উল্টে দিলেন বাবর আজমরা। একই সঙ্গে তিন বা ততোধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৭ বার ধবলধোলাইয়ের রেকর্ড করেছে পাকিস্তান। এই রেকর্ডে পাকিস্তান ছাড়িয়ে গেছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে। পাকিস্তানের ৭ ধবলধোলাইয়ের প্রথম শিকার হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তান। সবচেয়ে বেশি তিনবার ২০১৮ সালে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানিরা। আর সবশেষ আজ ২২ নভেম্বর বাংলাদেশকে তাদের মাঠেই ধবলধোলাইয়ের ‘লজ্জা’ দিয়ে এই রেকর্ডের শীর্ষে উঠলো পাকিস্তান। অপরদিকে, ভারতের প্রতিপক্ষকে ৬ বার হোয়াইটওয়াশের ঘটনা ঘটে টানা ৬ বছর- ২০১৬ থেকে ২০২১। যেখানে প্রথম ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। আর সর্বশেষ ২১ নভেম্বর তাদের (অস্ট্রেলিয়া) প্রতিবেশি নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের ‘লজ্জা’ উপহার দেয় ভারতীয়রা। তাছাড়া সর্বোচ্চ দুবার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে তারা। চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তান, ভারত-দুই দলের প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের রেকর্ডসমূহ।

গ্রানাডার বিপক্ষে বড় জয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: স্প্যানিশ লা লিগায় গ্রানাডার বিপক্ষে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। এর মাধ্যমে স্পেনের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় গ্রানাডার বিপক্ষে টানা ১৩টি ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। ম্যাচের ১৯ মিনিটের সময় মার্কো আসেনসিও গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন। ছয় মিনিট বাদেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নাচো। তবে এর একটি গোল ৩৪ মিনিটে শোধ করে গ্রানাডা। গোলটি করেন লুইস সুয়ারেজ। প্রথমার্ধে আর কোন গোলের দেখা পায়নি দুই দলের কেউ। ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে সমর্থ হয় রিয়াল। এরপর বিরতি থেকে ফিরে এসে ৫৬ মিনিটের সময় ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও ৭৬ মিনিটের সময় মেন্ডি গোল করলে তখনই বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের। ৬৭ মিনিটের সময় ভিনিসিয়াসকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন গ্রানাডার মঞ্চু। ফলে বাকি সময়টা তাদের দশ জনকে নিয়েই খেলতে হয়।

মালদ্বীপে প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করে দলকে জেতালেন সাবিনা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মালদ্বীপের ক্লাব ধিবেহি সিফাইং কেন বারবার বাংলাদেশের সাবিনাকে দলে ভেড়ায়? বারবারই এ প্রশ্নের জবাব সাবিনা দেন মাঠে। গোলের পর গোল করে দল জিতিয়ে দ্বীপ দেশটির ফুটবল কর্মকর্তাদের আস্থা অর্জন করেছে বাংলাদেশের এই গোলমেশিন। চতুর্থবারের মতো মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবল খেলতে মালে গেছেন জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। একই ক্লাবে খেলতে সাবিনার সঙ্গে গেছেন জাপানে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া। ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের এ দুই ফুটবলার মালদ্বীপের ধিবেহি সিফাইং ক্লাবের জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই দর্শক মাতিয়েছেন। রোববার পুলিশ ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ধিবেহি সিফাইং ক্লাব। সাবিনা করেছেন ২ গোল। সাবিনার সঙ্গে শুরুর একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন সুমাইয়াও। বিদেশের ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম ম্যাচে সুমাইয়াও দারুণ খেলেছেন। সাবিনা গোল করে দলকে জিতিয়েছেন, জিতেছেন ম্যাচসেরা পুরস্কার। সাবিনাদের পরের ম্যাচ মঙ্গলবার ট্রেড ক্লাবের বিপক্ষে। সাবিনা খাতুন ২০১৬ সালে এই ক্লাবে চার ম্যাচ খেলে ৩১ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন। টুর্নামেন্টে তার ক্লাব রানার্সআপ হওয়ার পেছনে বিশাল ভূমিকা ছিল বাংলাদেশ অধিনায়কের। সাবিনা ২০১৫ সালে প্রথম বাংলাদেশি নারী ফুটবলার হিসেবে মালদ্বীপে খেলতে গিয়েছিলেন। মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাবের জার্সিতে ৫ ম্যাচে ৩৭ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেট বুট। প্রথমবারও নিজ দলকে রানার্সআপ করতে বড় ভূমিকা ছিল সাবিনার।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More