স্টাফ রিপোর্টার: টানা ৬৩ দিন পর করোনা ভাইরাসের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০০-এর নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা গত ৯ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৬ জুন ৭৭ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এরপর মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২৫০ ছাড়িয়েছিল। আগস্টের মধ্য থেকে কমতে শুরু করলেও ১০০-এর নিচে নামল শনিবারই প্রথম। নতুন ৮০ জনের মৃত্যুতে দেশে করোনা ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৯২৬।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা গত দিনের চেয়ে কমেছে। এই সময়ে ৩ হাজার ৪৩৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, এই সংখ্যা ১০ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৯। তবে গত দিনের তুলনায় শনাক্তের হার কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার এই হার ১২ এর ঘরে থাকলেও শনিবার তা বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৭। গত এক দিনে ৪ হাজার ৮৬১ জন কোভিড রোগীর সুস্থ হওয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সেরে উঠলেন ১৪ লাখ ৯ হাজার ২৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৪ হাজার ৬৫২টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ১২৯টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৪৭২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৭টি, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৯০ হাজার ৭০৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৩৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকার পরে ১০০-এর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে ১৮৭ জন।
এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬১ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে মারা যাওয়া ৮০ জনের মধ্যে পুরুষ ৪১ জন, আর নারী ৩৯ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৬ হাজার ৮৫৭ জন, আর নারী মারা গেছেন ৯ হাজার ৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে রয়েছেন তিন জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১২ জন আর ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুই জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের এক জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, বরিশাল বিভাগের চার জন, সিলেট বিভাগের ছয় জন, রংপুর বিভাগের তিন জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন দুই জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মারা যাওয়া ৮০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১২ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন দুই জন।