আলমডাঙ্গায় সাব-রেজিস্টারকে রাতে আটকে রেখে কাজ করতে বাধ্য করলো ক্ষুদ্ধ জনতা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার সাব রেজিস্টার নূরে তোজাম্মেল হককে ক্ষুদ্ধ জনতা আটকে রাখে। পরে সব দলিল সম্পন্ন করে নিয়ে তাকে অফিস ত্যাগের সুযোগ দেয়া হয়। সকাল ১০টার পর অফিসে এসে অর্ধেক দলিলও সম্পন্ন না করে সন্ধ্যায় সাব রেজিস্টার চলে যেতে উদ্যত হলে উপস্থিত জনতা তাকে অফিসের গোপন কক্ষে আটকে রাখে। সকাল ৮টায় দূর দূরান্ত থেকে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা ক্ষুদ্ধ জনতা রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও জমি রেজিস্ট্রি করতে পারিনি। শেষে ক্ষুদ্ধ জনতার প্রতিরোধের মুখে বাধ্য হয়ে সাব রেজিস্টার পুনরায় কাজ শুরু করেন।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার সবচে বড় উপজেলা আলমডাঙ্গা। আলমডাঙ্গা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম সপ্তায় ৫ দিন হওয়ার কথা থাকলেও সাব-রেজিস্টার নূরে তোজাম্মেল হক অফিস করেন সপ্তায় মাত্র দুদিন। ফলে দলিল রেজিস্ট্রির অত্যাধিক চাপ থাকে। সে কারণে উপজেলার বিভিন্ন দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকে জমি রেজিস্ট্রি করতে কয়েক শ মানুষ আসেন। সকাল ৮টায় অফিসে এসে ভিড় জমান। তাদের অধিকাংশেরই অপেক্ষা শেষ হয় না। গতকাল সন্ধ্যায় সাব রেজিস্টার দলিল সম্পন্ন করতে অস্বীকার করে বাড়ি যেতে উদ্যত হন। এ সময় ক্ষুদ্ধ জনতা তাকে অফিসে আটকে রাখেন। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে ঘিরে রেখেছেন অফিস কক্ষ। ভীড় ঠেলে ভেতরে গিয়ে দেখা গেছে সাব-রেজিস্টার গোপন এক কক্ষে বসে আছেন। তাকে ঘিরে আছেন কিছু অফিস স্টাফ ও চিহ্নিত দালালরা। সাব-রেজিস্টার নূরে তোজাম্মেল হক জানান, তিনি সপ্তায় ৫ দিনের পরিবর্তে দুদিন অফিস করেন। বাকী দিনগুলোতে চুয়াডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সাব-রেজিস্টার রাত পৌনে ৯টার দিকে আবারও কাজ শুরু করেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More