স্টাফ রিপোর্টার: ‘স্বামীর ভিটে, সহায় সম্বল সবই কেড়ে নিয়েছে ছেলে। চাপিয়ে দিয়েছে ছেলের প্রথম স্ত্রীর রেখে যাওয়া শিশু দু‘সন্তান। নিজেই খেতে পারি না, ওদের খাওয়াবো কীভাবে। ভিক্ষা করে কোন রকম বেঁচে আছি। কিছু বলতে গেলে ছেলে নাজমুল ও তার বউসহ ওদের আত্মীয়রা নির্যাতন করে। উপায় না পেয়ে সাতগাড়ি ছেড়ে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছি।’
বয়স ষাটের উর্ধ্বে। নাম মোছা. সুরাতন নেছা। তিনি হাতে একটুকরো কাগজ নিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা কার্যালয়ে পৌঁছে কাঁদতে কাঁদতে উপরোক্ত কথাগুলো বলে প্রতিকার চান। বলেন, ‘কোথায় গেলে বিচার পাবো, কোথায় গেলে ফিরে পাবো আমার স্বামীর ভিটে-জমি তাও জানি না। কিছু বললেই ছেলে বলে আমি কোর্টের মহুরি। ঝামেলা করলে ফাঁসিয়ে দেবো। তোমরা কি বাবা আমার উপকার করতে পারবা? যে ছেলে তার নিজের দু‘সন্তানকে আমার কাছে দিয়ে আমাকেই বাড়ি থেকে তাড়িয়েছে সেই ছেলের কি কিছু হবে না?’
সুরাতন নেছার হাতে থাকা কাগজ তুলে দিয়ে বলেন, আমাকে কীভাবে নির্যাতন করে তা এই কাগজে লেখা আছে। তিনি পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, ‘স্বামী মৃত আব্দুল বারেক। ছেলের নাম নাজমুল। এই নাজমুলের প্রথম বউয়ের রয়েছে দু‘শিশু সন্তান। পরে সাথী নামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। জমিজমা কেড়ে নিয়ে ওর দু‘সন্তানকে আমার কাছে তুলে দিয়েছে। দু’শিশুকে আমি ফেলবো কোথায়? বাধ্য হয়ে ভিক্ষে করেই খাওয়ায়। নিজের বাড়িতে দু‘শিশুকে নিয়ে উঠতে চাইলে ওরা নির্যাতন করে। মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। আমি বিচার চাই।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ