করোনায় স্থগতি হয়ে গলে আইপএিল
মেহেরেপুরের বিভিন্ন স্থানে লিচু সুরক্ষার নামে কারেন্ট জালের ব্যবহারে মারা যাচ্ছে বহু পাখি
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে মরসুমী ফল লিচুর সুরক্ষার নামে কারেন্ট জালের ব্যবহার বেড়েছে। এতে করে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ওই জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। স্থানীয় বন বিভাগের নীরবতায় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা অবাধে পাখি শিকার করছে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন অনেকে। তবে প্রশাসন বলছেন, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, লিচু গাছের ওপরে কারেন্ট জাল বিছিয়ে রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও গোটা লিচু বাগানের চারিদিক কারেন্ট জাল টাঙানো আছে। বিভিন্ন বাগানে টাঙানো জালে জীবিত ও মৃত পাখি ঝুলছে। আবার কোথাও কোথাও পড়ে আছে পাখির মৃতদেহ। কোনো কোনো বাগান মালিক পাখি শিকার করে তার মাংস খান।
মেহেরপুর বার্ডস ক্লাবের সদস্য ও পাখি সংরক্ষণকারী মাজেদুল হক মানিক বলেন, পাখি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে। কিছু কিছু পাখি অর্থাৎ নিশাচর জাতীয় পাখি ইঁদুর খেয়ে ফসল রক্ষা করে। ফসলের ওপর থেকে বিরুপ প্রভাব ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রকৃতির বন্ধু পাখি রক্ষায় প্রশাসনের এখনই পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গাংনী ভিটাপাড়ার মাঠে লিচু বাগান মালিক হেলাল জানান, পাখি শিকারের কোনো উদ্দেশ্য নয়, পাখিরা বাগানের ফল খেয়ে ও নষ্ট করে। এদের কবল থেকে ফল রক্ষার্থে কারেন্ট জাল ব্যবহার করা হয়েছে। পাখি শিকার একটি জঘন্যতম অপরাধ এটি স্বীকার করে গাছ থেকে জাল সরিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
হেমায়েতপুর লিচু বাগানের মালিক আনারুল ইসলাম জানান, তিনি জাল টাঙিয়েছিলেন কিন্তু কয়েকটি বাঁদুড় মারা যাবার পর জাল খুলে নিয়েছেন। তিনি আরো জানান, ক্ষুধার্ত পাখিরা শুধু নয়, অনেক নীরিহ পাখি যারা তপ্ত রোদ থেকে বাঁচার জন্য ছায়া খোঁজে তারাও জালে আটকা পড়ে। তিনি কোনো পাখি মেরে ফেলেননি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, পাখি শিকার জঘন্যতম অপরাধ। তিনি এলাকায় গিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।