গড়াইটুপি প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার গবরগাড়া ফেরা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধ করোনা উপসর্গ গোপন করার অভিযোগ উঠেছে। জ্বর, গলাব্যথা, ঠা-া নিয়ে গত মঙ্গলবার তিনি নিজ বাড়িতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী তাকে ছেড়ে পিতার বাড়ি চলে গেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গবরগাড়া বাজারপাড়ার খলিল হোসেনের ছেলে আজিজ হোসেন (৩০) ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। হঠাৎ তার জ্বর, ঠা-া, গলাব্যথা অনুভূতি হয়। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ না হলে গত মঙ্গলবার তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। করোনা উপসর্গ থাকলেও তাদের বাড়ির লোকজন কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাজার ও প্রতিবেশীদের সাথে অবাধে মেলামেশা করছেন। গ্রামবাসী একাধিকবার করোনা টেস্ট করার কথা বললেও তাতে কোনো কর্ণপাত করেননি তারা। পরে বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানো হলে তিনি অবগত হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের পাঠান এবং নমুনা দেয়ার জন্য তারা আজ রোববার হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেছে। করোনার ভয়ে আজিজ হোসেনের স্ত্রী লিমা খাতুন তার কাছে আসেননি। তাকে ছেড়ে পিতার বাড়ি চলে গেছেন।
এ বিষয়ে আজিজ হোসেন বলেন, ঢাকায় থাকাকালীন আমার ঠা-া-জ্বর হয়েছিলো। কিন্তু এখন সুস্থ আছি। বাড়িতে অবস্থান করছি। বাড়ির বাইরে যায় না। ঢাকা থেকে চলে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ না থাকায় চলে এসেছি। প্রথমে তিনি গলাব্যথার কথা অস্বীকার করলেও তার বোন স্বীকার করে বলেন, তার একাধিকবার বমি হয়েছে। এদিকে তার এ উপসর্গের কারণে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গায় লাগামহীনভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ