রায় শুনে এজলাসের মধ্যেই বাদীর ওপর হামলা চালালেন আসামিপক্ষের নারীরা
মাগুরায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলার রায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার এ রায়ের পর আসামিপক্ষের নারীরা এজলাসের মধ্যেই মামলার বাদীর উপর হামলা চালায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামে টাকা পয়সা লেনদেনের ঘটনা নিয়ে মাহবুবুর রহমানের ছেলে রাজুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে ওইদিনই মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণাদি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন আসামি আলতু লস্কর, ইদ্রিস মোল্যা ও কাসেম লস্কর এই ৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। কিন্তু রায় ঘোষণার পর এজলাসের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে রায় ঘোষণা শেষে আদালতের বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আসামিপক্ষের নারীরা এজলাসের মধ্যেই নিহত রাজুর বাবা মাহবুবুর রহমানের উপর হামলা চালায়। কয়েকজন চেয়ার তুলে তাকে আঘাতের চেষ্টা করে। বাদীপক্ষের একজনকে ধরে নিয়ে যাবার চেষ্টাও করে তারা। এই পরিস্থিতিতে আইনজীবীরা এজলাসে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করেন। পরে সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদিন মামলার বাদী নিহত রাজুর বাবাকে পুলিশি নিরাপত্তায় সরিয়ে নেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি মশিউর রহমান এজলাসের মধ্যে মামলার বাদীর উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে আদালতে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে মাগুরা কোর্ট ইনস্পেকটর শাহাজান সিরাজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। তারপরও আসামিপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। হামলাকারীরা সকলেই নারী।