মাত্র ১০ মাসে হাফেজ হলো কার্পাসডাঙ্গার জাহাজপোতার বিস্ময় বালক আমির হামজা
রতন বিশ্বাস: মাত্র ১০ মাসে পবিত্র কুরআন মাজিদের হিফজ সম্পন্ন করেছে কার্পাসডাঙ্গা-আরামডাঙ্গা মদিনাতুল উলুম মাদরাসার ছাত্র। ১০ বছর বয়সী বিস্ময় বালক দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের জাহাজপোতা গ্রামের রমজান আলীর সন্তান আমির হামজা। পড়াশোনা করেছে কার্পাসডাঙ্গা-আরামডাঙ্গা মদিনাতুল উলুম মাদরাসায়। গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র কুরআন মাজিদ সম্পন্ন করেছে। ছাত্রের এমন কৃতিত্বে অত্র মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মাও. আব্দুল জাব্বার বলেন, পৃথিবীতে যতো ধর্মগ্রন্থ আছে কেবল কোরআনই মুখস্থ করা হয়। তাই পৃথিবীতে অগণিত কোরআনের হাফেজ বিদ্যমান। কেউ যদি এই মহাগ্রন্থ অল্প সময়ে মুখস্থ করে ফেলে তা রীতিমতো বিস্ময় হয়ে দাঁড়ায়। তেমনই এক বিস্ময় ১০ বছর বয়সী কিশোর মো. আমির হামজা। মাত্র ১০ মাসে হিফজ শেষ করা আমির হামজার কাছে জানতে চাইলে হাফেজ আমির হামজা জানায়, আমি বড় হয়ে অনেক বড় আলেম হতে চাই এবং দ্বীনের খেদমত করতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। মাদরাসার মোতাওয়ালী সভাপতি আলহাজ হাফেজ মাও. মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, ২০১০ সালের জন্ম নেয়া এই বালক শুরুতে প্রতিদিন ৫-৭ পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্থ করে ওস্তাদকে শোনাতে থাকে। পরে তার আগ্রহ দেখে তার ওস্তাদ ১০ পৃষ্ঠা করে মুখস্থ করাতে থাকে। এভাবে ১০ মাসের মধ্যে পুরো কোরআন মুখস্থ করে ফেলে সে। তার এই বিরল প্রতিভা দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। মাদরাসার নায়েবে মুহাতামিম আলহাজ হাফেজ মাও. ওমর ফারুক এই কিশোরের বিরল প্রতিভা প্রসঙ্গে বলেন, আমার শিক্ষাগত জীবনে এমন প্রতিভা ও এতো ভালো ছেলে আর দেখিনি। ৩ ভাই বোনের মধ্যে সে মেজ। তার বাবা একজন দিনমজুর। বাবা-মা, ভাই-বোন সকলেই তার এমন কীর্তিতে গর্বিত। এমন ছাত্রকে শিখাতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমি আমির হামজার মঙ্গল কামনা করছি। সে পড়ালেখায় দারুন মনোযোগী। তাকে সঠিকভাবে গাইডলাইন দিতে পারলে ভবিষ্যতে বড় কিছু হতে পারবে। দীর্ঘ ৩০ বছর মাদরাসায় কর্মরত মুহাতামিম মাও. সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের ছাত্র হাফেজ ১০ মাসে আল্লাহর ঐশী বাণী পবিত্র কুরআন মাজিদ হিফজ সম্পন্ন করেছে। আল্লাহতায়ালা যেনো তাকে বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন হিসেবে কবুল করেন সেই দোয়া করি।