জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাত আলী। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে তার বর্তমান বয়স ৪৪ বছর আর তার ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের বয়স ৫০ বছর। বাবার চেয়ে ছেলে ৬ বছরের বড়।
মো. জামাত আলীর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যমতে তার জন্ম ১৯৭৭ সালের ৪ আগস্ট। অন্যদিকে তার ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর লেখা আছে। সে হিসেবে দেখা যায় বাবার ৬ বছর আগে ছেলের জন্ম হয়েছে। যদিও মো. জামাত আলীর প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৫১ সালের ৪ আগস্ট। সে হিসেবে তার প্রকৃত বয়স ৭০ বছর। অথচ আইডি কার্ডে ২৬ বছর বয়স কম করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মো. জামাত আলী বলেন, আমার ভোটার আইডিতে জন্ম তারিখ অনুযায়ী ছেলের বয়সের থেকে ৬ বছর কম হয়ে গেছে। এছাড়া আমার প্রকৃত বয়স ৭০ বছর হলেও আইডি কার্ড অনুযায়ী বর্তমান বয়স মাত্র ৪৪ বছর। বয়স কম হওয়ার কারণে খুব সমস্যায় পড়েছি। এ আইডি কার্ড দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছি না। বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আইডি কার্ডে ভুলের কারণে পদে পদে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সংশোধনের জন্য জীবননগর নির্বাচন অফিসে গিয়েছি। তারা বলেছেন, সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। সংশোধন করতে সময় লাগবে।
জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন মো. জামাত আলী। তিনি বলেন, বয়স কম হওয়ার কারণে তার বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে জীবননগর উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান (অতিরিক্ত দায়িত্ব¡) জানান, ২০০৯ সালের আগে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের তথ্যগত ক্রটির জন্য সমস্যা হতে পারে। মো. জামাত আলী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন করেননি। সংশোধনের আবেদন করলে অবশ্যই সংশোধন করে দেয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গায় কৃষক ও ডিলার সম্মেলনে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ