পা ধরে ক্ষমা চেয়েও বাবাকে রক্ষা করতে পারেনি মেয়ে রজনী
চুয়াডাঙ্গার যদুপুর গ্রামে সেনা সদস্যের হাতে মহিলাসহ রক্তাক্ত জখম ৩
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার যদুপুর গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এক সেনা সদস্যের হাতে একই পরিবারের ৩জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে নেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। এদিকে সেনা সদস্য হুসাইনের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে বাবাকে মারার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি মেয়ে রজনী খাতুন। সেনা সদস্যের এহন কর্মকা-ে এলাকায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার জয়নাল আবেদীনের সাথে মাছ ধরা নিয়ে গতপরশু মঙ্গলবার বিকেলে শুকুর আলীর ছেলে নজর আলীর বাকবিত-া হয়। এঘটনা তখনই মিমাংসা হয়ে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে জয়নালের ছেলে সেনাসদস্য হুসাইন বাড়িতে এসে তার বাবার সাথে নজর আলীর বাকবিত-ার বিষয়টি জানতে পারে। হুসাইন সন্ধান করতে থাকে নজর আলীকে। এদিকে এশার নামাজ পড়ে নজর আলী মসজিদে কোরআন তেলওয়াত করছিলেন। জানতে পেরে সেনা সদস্য মসজিদের ভেতরে ঢুকে নজর আলীকে ধরে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটাতে থাকে। নজর আলীর চিৎকারে ছুটে আসেন স্ত্রী শাপলা খাতুন ও মেয়ে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী রজনী খাতুন। এসময় সেনা সদস্য হুসাইন তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করেন। রজনী খাতুন জানায়, আমাকে মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলে। পরনের পোশাক আশাক সব ছিড়ে যায়। বাবাকে রক্ষা করতে আমি ওই সেনা সদস্যের পা পর্যন্ত চেপে ধরে ক্ষমা চাই। আর বলতে থাকি আমার বাবাকে আর মেরেন না। তাতেও মন গলে না তার। একপর্যায় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমার বাবা নজর আলী (৪২), মা শাপলা খাতুন (৩৫) ও আমাকে হুসাইনের হাত থেকে রক্ষা করেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সামান্য তর্কবিতর্কের ঘটনায় এমন মারধর দেখা যায় না। হুসাইনের মারধরে তার সামনে যেতে কেউ সাহস পায়নি। এদিকে আহত ৩ জনকেই উদ্ধার করে রাতেই চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে সেনা সদস্যের এহন কর্মকা-ে গ্রামে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এ ব্যাপারে সেনা সদস্য হুসইনের মতামত জানার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। হুসাইনের মা বলেন, ছেলে বাড়িতে নেই। তার মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি বলেন, ছেলের মোবাইল নাম্বার আমার জানা নেই। এ ঘটনায় নজর আলীর পক্ষ থেকে মামলা করা হবে জানানো হয়।