চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউপি নির্বাচনে আরও ১৩ প্রার্থীর মনোনয়পত্র সংগ্রহ
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউপি নির্বাচনে আরও ১৩ জন মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। এনিয়ে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ সদস্য পদে ২৭ জন এবং মহিলা সদস্য পদে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। এদিকে নৌকা আনতে মাঝিরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিতুদহ ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন তা জানতে মুখিয়ে আছে ইউনিয়ন আ.লীগের নেতা-কর্মীরা। নৌকা প্রতীক নির্ধারিত হলে নৌকা প্রত্যাশিত বাকি প্রার্থীরা কে কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গতকাল মঙ্গলবার আরও ১৩ জন প্রার্থী রির্টানিং কর্মকতার নিকট থেকে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। এনিয়ে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ সদস্য পদে ২৭ জন এবং মহিলা সদস্য পদে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী, সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিপু, আ.লীগ নেতা ফারুক হোসেনের পক্ষে স্ত্রী নাফিয়া ইয়াসমিন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তিতুদহ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন। এ নির্বাচনে বিএনপি, জাতীয়পাটিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে না। ফলে ক্ষমতাসীন আ.লীগের একাধিক প্রার্থী নিজেরা নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। টার্গেট যে কোন মূল্যে নৌকার প্রার্থী হওয়া। তাই তো মাঝিরা সব নৌকা আনতে ঢাকাতে অবস্থান করছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, নৌকা পেতে শক্ত অবস্থানে আছে তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী এবং সদর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিপু। তবে ব্যাতিক্রম কিছু হলে তা হবে চমক। যেমন চুয়াডাঙ্গা পৌর নির্বাচনে ঘটেছিলো। যদিও দলীয় প্রতীক পাওয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। অন্যদিকে নৌকা প্রতীক নির্ধারিত হলে প্রত্যাশিত বাকি প্রার্থীরা কে কোন ভূমিকায় অবর্তীন হন সেটাই এখন দেখার বিষয়। কতটুকু দলীয় শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবেন সেটা সময় হলে পরিষ্কার হবে। তবে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটবে আগামী বৃহস্পতিবার। ভোটাররা মনে করছেন স্থানীয় নির্বাচনে প্রতীক না প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, ব্যক্তি ইমেজ ও অতীত খুঁটিনাটি অনেক বিষয় বিচার বিশ্লষণ করেই ভোটাররা ভোট দিয়ে থাকেন। এ নির্বাচনে যেহেতু বিএনপি ও জামায়াত কোন প্রার্থী দিচ্ছে না তাই সাধারণ সমর্থকেরা যেদিকে হেলবে ফলাফল সেদিকেই যাবে। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। সব প্রশ্নের উত্তর পেতে দলীয় নেতাকর্মীদের আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।