চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় করোনার সানাক্তের হার আবার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলায় ঘরে ঘরেই রয়েছে জ্বর,সর্দি-কাশি রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে জ্বর,সর্দি-কাশি আক্রান্ত রোগীর ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্মরত চিকিৎসকদের। তরে করোনা পরীক্ষা করাতে তেমন কোন আগ্রহ নেই এদের মধ্যে। কয়েক দিন সনাক্তের হার একটু কম থাকলেও হঠাৎ করে তা বেড়ে গেছে। গতকাল শনিবার(৩জুলাই) রাত ৮টার ুদিকে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রিপোর্ট অনুযায়ী সনাক্ত হয়েছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ২০জন ও কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবের ১৬জন মোট ৩৬জন। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার বেড বাড়ানো হয়েছে ১৫টি থাকলে ও রোগী বাড়ার কারনে আরো ১০টি বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বেড সংখা ২৫ টি।প্রতিনিয়ত রোগীর সংখা বৃদ্ধি পেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের ঘাটতি নেয়।
অতিমারি করোনা ভাইরাস প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন রোগীদের চিকিৎসার কথা চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলি আজগার টগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ১০টি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার ও হাই-ফ্লো ক্যানোলা প্রদান করেন। একই ভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি নেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি ইঞ্জিঃ মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার পুনরায় (১লা জুলায়) ৮টি ৯হাজার ৮০০লিটার অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার, ৪টি ছোট হাই- ফ্লো মিটার সিলিন্ডারে রেগুলেটর ১২টি হাই-ফ্লো অক্সিজেন মাস্ক ও ১২ টি নজেল ক্যানোলা অক্সিজেন মাস্ক উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রদান করেন। এর আগে গত বছর এই কোভিড-১৯ শুরু হলে ৮টি অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার প্রদান করেন তিনি।
বহির্বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ এলিচ আক্তার বলেন, প্রতিদিন বহির্বিভাগে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী আসলেও তাদের ৮০ শতাংশ জ্বর,সর্দি-কাশি থাকলেও তাদের আগ্রহ নেই পরীক্ষা করার। অতিরিক্ত জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে আসলে তাদের পরীক্ষা করে পজেটিভ হলে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে আবার অনেকে হোম কোয়ারেনটেনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান,হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১৭জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। পতিদিনই এর সংখা বাড়ছে ফলে বেড সংখা বাড়ানো হয়েছে। চিকিৎসার কোন ঘাটতি নেই।হাসপাতালে ছোট বড় ৪১টি সিলিন্ডারে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ রয়েছে। হঠাৎ করে আক্রান্তের পরিমান আরো বেড়ে গেলে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। উপজেলায় বর্তমানে আক্রান্তের সংখা ১৫১ জন। এরা হোম কোয়ারেনটেন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এপর্যন্ত ২৭জন ও উপসর্গ নিয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ