ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কুনিয়া চাঁদপুর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসায় সভাপতি মনোনীতকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর ও কুনিয়া গ্রামে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। জানা গেছে, মাদরাসা কতৃপক্ষ তিনজনের নাম বোর্ডে পাঠায় সভাপতি হিসাবে। তাদের মধ্য কুনিয়া গ্রামের মরহুম হাজি আব্দুস সাত্তারের ছেলে নেছার উদ্দীনকে সভাপতি মনোনীত করে প্রজ্ঞাপন পাঠায় বোর্ড। এতে করে চরম উত্তেজনা শুরু হয় চাঁদপুর গ্রামের লোকজনের মাঝে। তারা বলেন, আমরা ৪ গ্রামের লোকজন একসাথে মাদরাসায় বসে সকলের সিদ্ধান্তক্রমে মোস্তাক আহমেদ মিনু মাস্টারকে সভাপতি নির্বাচিত করি। কিন্তু মাদরাসা সুপার মাও. সামসুল আলম ও হাজি নেছার উদ্দীন যোগসাজশ করে সে কাগজ/রেজুলেশন পাল্টিয়ে নেছার উদ্দীনের ভাইয়ের ছেলে মো. সাইফুল্লাহর সহযোগিতায় বিভিন্ন মাধ্যম ম্যানেজ করে সভাপতি মনোনীত হয়ে আসে। মাদরাসার সুপার মাও. সামসুল আলমও স্বীকার করেছেন তিনি বোর্ডে কাগজ পাঠানোর পর সেখানে মো. সাইফুল্লাহ থেকে তার চাচাকে সভাপতি মনোনীত করে নিয়ে আসে। সভাপতি মনোনীত করার পরে সকলের সাথে না বসে মো. সাইফুল্লাহ ফেসবুকে চাঁদপুর গ্রামবাসীকে মূর্খ বলে উল্লেখ করে পুরো গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেই। যা দুই গ্রামের মধ্য সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়াও দামুড়হুদায় এনজিও চাকরি করে এক ব্যক্তির মাধ্যমে মুঠোফোনে আমাদের নানানভাবে হুমকি দিচ্ছে। যার কারণে গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মাদরাসা প্রাঙ্গণে চাঁদপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আমরা মো. সাইফুল্লার বিচার চাই। সে কেন একটা গ্রামের লোকজনকে মূর্খ বলবে। তারা যে দাবি করছে তার দাদার জমি দিয়ে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের কোনো জমি নেই এখানে। যত জমি সব চাঁদপুর গ্রামবাসীর। আমরা চাই মাদরাসাটা সঠিকভাবে চলুক। পড়াশোনার মান ভালো হোক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল আলিম, আব্দুল বারিক, শফিকুল ইসলাম, আবুল কাশেম, জাহাঙ্গীর আলম, নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন মুহুরি, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দস, আশাদুল ইসলাম মাস্টারসহ চাঁদপুরের শতাধিক লোকজন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.