দর্শনায় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নাহারুল মাষ্টারসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় দুটি অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: দর্শনায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দুটি অভিযোগে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক নাহারুল ইসলাম মাস্টারসহ ১৮ ও ৩৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। দর্শনা কলেজ পাড়ার আবেদ আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে তার দোকান ভাংচুর, লুটপাট মারধর করে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি করে অভিযোগে পরানপুর গ্রামে মৃত শামছদ্দিনের ছেলে নাহারুল ইসলাম মাস্টার, মোবারকপাড়ার মনির হোসেনের ছেলে সামাউল হক ও একই পাড়ার শহীদ হোসেনের ছেলে সোহেবসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাজ্জাদ হোসেন।
অপরদিকে রামনগর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে মনির হোসেন বাদী হয়ে তার দোকান ভাংচুর, লুটপাট মারধর করে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি করে লুটপাট করে নাহারুল ইসলাম মাস্টার, মোবারকপাড়ার শহীদ হোসেনের ছেলে সোহেব, পরানপুর গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে রকিবসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া একই মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে আর একটি অভিযোগ হয়েছে।
উল্লেখ্য গত পরশু শুক্রবার রাতে বিএনপি নামধারী ৩টি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাথর ছুড়া ছুড়ি এক দোকানপাট ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭-৮ আহত হয়। এরা হলো এসব ভাংচুর লুটপাটের দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে দর্শনা কলেজ পাড়ার আবেদ আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোকান ও রামনগর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে মনির হোসেনের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে থানায় দুটি আলাদা আলাদা দুজন বাদী হয়েছেন।
এছাড়া দর্শনা চটকাতলায় সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কার্যালায়, চটকাতলা যুব সংঘের কাযালয়, রেলইয়াডে মোমিন এর চায়ের দোকান, দর্শনা চটকাতলা ইসলাফিল হোসেনের দোকানের বেঞ্চ ভাংচুর, দর্শনা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বাউন্ডারী বিজ্ঞাপন ব্যানার, স্টেজ, ক্রিকেটের কোট কুপিয়ে নষ্ট, অনির্বাণ থিয়েটার চত্বরে র‌্যাকেট খেলার নেট, লাইটিং বাঁশ ও প্রয়াত চেয়াম্যান আক্তারুল ইসলামের ছবি সম্বলিত গেট ভাংচুর করেছে দুবৃর্ত্তরা। এছাড়া দর্শনা পরাণপুর সড়ক, দর্শনা রেলইয়াড ও ইসলাম বাজার পাড়ার অলিগলি সকল সড়কগুলোতে সকালে ইট ও পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়ও লোকজন জানান, রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও তান্ডব চলতে থাকে।
উল্লেখ্য দর্শনা কেরু নির্বাচনের প্রচারণা মিছিল থেকে ঘটনার সুত্রপাত ঘটে। পরবর্তীতে দর্শনা মোবারক পাড়া, পরাণপুর, দক্ষিণ চাঁদপুর, দর্শনা চটকাতলাসহ ইসলাম বাজার পাড়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিএনপির দুটি গ্রুপের ভেতরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোহরা চলে। পরে দর্শনা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল এসে এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ নেয়। বর্তমান দর্শনা পরিবেশ পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More