জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর শহরের বসুতিপাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে মুক্তা খাতুন (২৩) নামের দুই সন্তানের এক জননী আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের কারণে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে স্বামী পক্ষ হতে দাবি তোলা হয়েছে। তবে গৃহবধূর পিতৃপক্ষ হতে অভিযোগ তোলায় পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সাত বছর আগে জীবননগর বসুতিপাড়ার রিফাত হোসেন বাবুলের সাথে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে মুবিন হোসেন নামে চার বছর বয়সী এক ছেলে ও পাঁচ মাস বয়সী তাবাসসুম নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। গতকাল দুপুরে স্বামীর সাথে মুক্তার বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে স্বামীর ওপর অভিমান করে শয়নকক্ষের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। মুক্ত ঘরের আড়ায় ঝুলে থাকা দেখে স্বামী দেখে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহত মুক্তার পিতা মনিরুল ইসলাম জানান, গত সাত বছর আগে আমার কন্যা মুক্তার সাথে বাবুলের বিয়ে হয়। ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্বামীর ওপর রাগ করে সে আমার বাড়িতে চলে আসে; কিন্তু একই দিন রাতে বাবুল আবার আমার মেয়েকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে আসে। আমার কন্যার ভাষ্য মতে সে নেশায় জড়িয়ে পড়েছিল। এছাড়াও ব্যবসায়িকভাবে অনেক দেনাগ্রস্ত ছিল। কারণে অকারণে আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলতো এমনকি আজকেও তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.