মাথাভাঙ্গা অনলাইন: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চুয়াডাঙ্গা তালতলা গ্রামের যুবলীগকর্মী মোনাজাত উদ্দিনকে উপর্যুপরী কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা । মঙ্গলবার রাতে শহরের পৌর এলাকার তালতলা গ্রাম এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাতেই তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়। আহত মোনাজাত উদ্দীন তালতলা গ্রামর আব্দুল মজিদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের তেতুলতলা মোড়ের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন যুবলীগকর্মী মোনাজাত উদ্দীন । এ সময় রাত সাড়ে ৭টার দিকে ৭/৮ জনের দুর্বৃত্ত্বের একটি দল তাকে জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে যায় গ্রামের স্কুলের পিছনে। সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয় উপর্যুপরী কুপিয়ে জখম করা হয়। মোনাজাতের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা এলাকা ত্যাগ করে। পরে গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাকিল আরসালান জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোনাজাত উদ্দীনের মাথা, বাম হাত ও দুই পাসহ শরীরের অসংখ্য স্থানে আঘাত করা হয়েছে। এ কারণে তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পঙ্গুতে রেফার্ড করা হয়েছে। রাতেই তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, হামলাকারী ও হামলার শিকার হওয়া উভয়ই একই সংগঠনের নেতাকর্মিরা। নিজেদের মধ্য পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হামলা ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের দুটি ইউনিট কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে যুবলীগকর্মী মোনাজাতের ওপর হামলার খবর পেয়ে রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুঁটে যান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারসহ যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মিরা। তারা হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।