বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়নের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক নিহত রফিকুল ইসলাম রফিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য ও জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস মিলি। গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি রফিকদের বাড়িতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শান্ত¦না দেন। এ সময় মিলি বলেন, রফিক ছিলো দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। অনেক ত্যাগ শিকার করে দলকে ভালোবেসে গিয়েছে। দলের প্রতি তার যেমন আনুগত্য ছিলো প্রকৃতপক্ষে তাকে সে মূল্যায়নটা করা হয়নি। আজ রফিক আমাদের মাঝে নেই। তার অভাব পূরণীয় নয়। তাকে অন্যায় করে যারা হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দল কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারাই এই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে দলের পদপদবি পেয়ে কেউ দলবাজি করতে না পারে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে কোনো হঠকারিতার স্থান নেই। অন্যায় করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আমরা রফিকের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকবো। দলের জন্য রফিকের যে ঋণ তা কখনই শোধ হওয়ার নয়। এ সময় নেত্রীকে কাছে পেয়ে নিহত রফিকের পরিবারের লোকজন বাঁধভাঙ্গা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রফিকুল ইসলামের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি সিনিয়র নেতা হাজি আব্দুল খালেক, বিএনপি নেতা বেল্টু মিয়া, মশিউর রহমান মিলনসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবি ও ভিজিএফ’র কার্ড ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গু-াবাহিনী প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে। যা এলাকায় আলোচনা সমালোচনা এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সেই সাথে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সাংগাঠনিকভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দলীয় এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে সুধীমহল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.