গাংনী প্রতিনিধি: নাশকতামূলক কর্মকা-ের অভিযোগে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার ভোর ছয়টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি টীম উপজেলার অলিনগর একটি ইটভাটার সামনে থেকে তাদেরকে আটক করে। এদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হচ্ছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তেরাইল গ্রামের করিম ম-লের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্টো (৫৬), বামন্দী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল (৫৭), তেরাইল গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মাহিদুর রহমান (৪৮), রমজান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০), তাহাজ উদ্দীনের ছেলে তাহের (৬০), গাংনী মাঠপাড়ার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে বশির আহমেদ (৪৫), ভোমরদহ গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে হাবিবুর (৩৩), ওমর আলীর ছেলে শরিফুল (৪৫), রামনগরের ওয়াজেদ আলীর ছেলে নাহারুল (৪১) ও দেবীপুর গ্রামের পালান উদ্দীনের ছেলে আশরাফুল (৪০)।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইস অ্যান্ড অপস) আহসান খান জানান, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতা করছিলো। এসময় কয়েকজনকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তবে নাশকতার স্থান থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। আসামির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান তিনি।
গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, আটককৃত বিএনপির নেতাকর্মীগণ অলিনগর গ্রামের জনৈক আশারুল ইসলামের ইটভাটার সামনে নাশকতামূলক কর্মকা- করছিল। এদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫-ডি তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনের ৪/৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.