গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীর হেমায়েতপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত মঈনুদ্দীনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। মঈনুদ্দীনের মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। স্ত্রী জুলেখা বলছেন স্বামী মঈনুদ্দীন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে মঈনুদ্দীনের বোন ও মামাসহ প্রতিবেশিরা দাবী করেছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ মঈনুদ্দীনের মৃত্যুর খবর আসে। সে অসুস্থ এমন তথ্য কারো কাছে ছিলো না। দুমাস আগে মঈনুদ্দীন মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছে।
মঈনুদ্দীনের বোন শিরিনা জানান, তার ভাই ১৫ বছর যাবৎ মালয়েশিয়া থাকেন। বছর পাঁচেক আগে বাড়িতে আসার পর একবার পারা খাওয়ানোর ফলে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি না এসে সরাসরি মালেশিয়া চলে যান। এবার বাড়ি এসে স্ত্রীর কারণেই প্রাণ গেলো তার। ভাইকে পরিকল্পিতভাবে কেমিক্যাল খাওয়ানোর কারণে মারা গেছে। এ কথা জানিয়েছেন মঈনুদ্দীনের মামা আব্দুস সাত্তারসহ প্রতিবেশীরা। তারা জানান, জুলেখা তার শাশুড়িকেও বিষপান করিয়ে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ রয়েছে। সেসময় গ্রামের লোকজন বিষয়টি গোপন করায় জুলেখা রক্ষা পায়।
স্থানীয়দের দাবী, স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রী জুলেখা স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার জনশ্রুতি রয়েছে। দেশে ফেরার পর স্বামী তার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। এজন্যই মঈনুদ্দীনকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন পরিবারের লোকজন।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, মঈনুদ্দীনের বোনসহ অন্যান্যরা অভিযোগ করছেন তাই জটিলতা এড়াতে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।