গাংনীতে পুলিশের সফল অভিযান : ১০টি বোমার মালিক জাব্বার ও তার ছেলে গ্রেফতার

গাংনী প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ীয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ১০টি বোমার মালিক জাব্বারুল ইসলাম (৪৫) ও ছেলে সোহেল রানাকে (২৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গাংনী থানার এসআই আতিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। বোমা তৈরী করে বিক্রি এবং ইটভাটায় বোমা রেখে মালিকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো গ্রেফতারকৃতরা।
গেলো শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জব্বারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০টি বোমা, বোমা তৈরীর সরঞ্জাম ও গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপন করেছিলো জব্বার ও তার ছেলে সোহেল।
গেলো ৯ জানুয়ারি গাংনী ভিটাপাড়ার রেজাউল ইসলাম খোকন হত্যা মামলার রায়ে হিজলবাড়ীয়ার সন্ত্রাসী বিল্লাল হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আদালত। জাব্বারুল ইসলাম হচ্ছে বিল্লাল হোসেনের সহযোগী। উদ্ধার হওয়া বোমা ও বোমা তৈরীর সাথে বিল্লাল হোসেনের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে জাব্বারুল।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, জাব্বারুল ইসলাম পেশায় গাছী (খেঁজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহকারী)। পাশাপাশি সে গোপনে বোমা তৈরী করে সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করতো। তারা কয়েকজন মিলে বোমা তৈরী করে বিক্রি করতো। এছাড়াও জাব্বারুল ইসলাম স্থানীয় একটি ইটভাটায় পাহারাদার হিসেবে কাজ করতো। ওই ইটভাটায় বোমা রেখে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করা হতো। বেনামের সন্ত্রাসীদের নামে জাব্বারুল নিজেই চাঁদা আদায় করতো ইটভাটা মালিকের কাছ থেকে। শনিবার তার বাড়ি থেকে বোমার উদ্ধারের পর তাকে গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ। অভিযানে জাব্বারুল ও সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে বোমা তৈরী, বিক্রি ও চাঁদা আদায়ের স্বীকারোক্তি দিয়েছে জাব্বারুল ও সোহেল। তাদের দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More